ফ্রিডম বাংলা নিউজ

সোমবার, জুলাই ৮, ২০২৪ |

EN

ঢাবির বিজয় ৭১ হলের প্রাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে সাংবাদিক হেনস্থার অভিযোগ

নাইমুর রহমান ইমন, ঢাবি প্রতিনিধি | আপডেট: বৃহস্পতিবার, সেপ্টেম্বর ১, ২০২২

ঢাবির বিজয় ৭১ হলের প্রাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে সাংবাদিক হেনস্থার অভিযোগ

ছবি: ফেসবুক

গতকাল বুধবার (৩১ আগস্ট) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর  হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আব্দুল বাছিরকে দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি আশিকুর রহমান শুভ সুপেয় পানির ব্যবস্থা এবং অন্যান্য সমস্যা প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলে তিনি বলেছেন, ‘তোমার কাছে কৈফিয়ত দেব কেন?’

এ বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে ফ্রিডম বাংলা নিউজের ক্যাম্পাস প্রতিবেদক অধ্যাপক ড. আব্দুল বাছিরকে কল করে প্রশ্ন করেন। তার বিরুদ্ধে সাংবাদিক হেনস্তার অভিযোগ এসেছে এই নিয়ে প্রশ্ন করায় তিনি দাবি করেন বিষয়টি বাড়িয়ে বলা হয়েছে। তার মতে তার সাথে হলের কর্মচারীরাও উপস্থিত ছিল। তিনি জানিয়েছেন যে আলোচ্য সাংবাদিকের প্রশ্ন করার ধরন তার কাছে ভালো লাগেনি। সুপেয় পানির অভাব রয়েছে কি-না প্রশ্ন করলে তিনি উত্তর দেন যে এ অভিযোগটিও মিথ্যা কারণ হলের ক্যান্টিন ও ম্যাচে পানির ফিল্টার দেয়া হয়েছে। এছাড়াও তিনি বলেন হলের বিভিন্ন ফ্লোরে সুপেয় পানির ফিল্টার লাগানোর ব্যবস্থা চলমান রয়েছে। পরিশেষে তাকে ও তার হলের ব্যবস্থা নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি আলোচ্য সাংবাদিকে কাজকে ভুল বলে আখ্যায়িত করেন। 

ভুক্তভোগী সাংবাদিক আশিকুর রহমানের মতে তিনি ফোন করে অনুমতি নিয়ে প্রভোস্টের রুমে প্রবেশ করেন। কিন্তু প্রবেশ করার পরই তিনি দ্রুত কথা বলতে বলেন। তিনি প্রশ্ন করতেই উত্তরে প্রভোস্ট তাকে রাগী স্বরে বলেন, ‘তোমাকে কৈফিয়ত দেব কেন’?” এছাড়াও তিনি জানান পরে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে প্রভোস্ট তাকে রুম থেকে বের হয়ে যেতে বলেন।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিজয় একাত্তর হল তিনটি ব্লকে বিভক্ত পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা৷ এই তিন ব্লকে মিলেই প্রায় ২৫০০ শিক্ষার্থী রয়েছে। এর মধ্যে শুধু পানির ফিল্টার আছে চারটি, দুটি হলের ক্যান্টিন, মেস এবং বাকি দুইটি পদ্মা ও যমুনায় দুই তলায় একটি একটি করে রাখা আছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হলের শিক্ষার্থীরা অন্য হলের তুলনায় বেশি টাকা ফি দিলেও হলে সুপেয় পানির কোনো ব্যবস্থা নেই। পানির ফিল্টার বসাতে একাধিকবার কমিটি করা হলেও দৃশ্যমান কোনো উন্নতি নেই। এছাড়া গত প্রায় অর্ধদশক হলের লাইব্রেরিটি বন্ধ। বাইক স্ট্যান্ড তৈরি হলেও সেটিও খোলা হচ্ছে না। পেপার রুম ও গেমস রুম হল ছাত্রলীগের দখলে ‘গণরুম’ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এসব বিষয়ে প্রশ্ন করতেই ওই সাংবাদিক প্রভোস্টের কাছে যান।