ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪ |

EN

দেশে সর্বোচ্চ পরিমাণ চাল মজুদ আছে: খাদ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: মঙ্গলবার, আগস্ট ৩০, ২০২২

দেশে সর্বোচ্চ পরিমাণ চাল মজুদ আছে: খাদ্যমন্ত্রী
দেশে চালের কোনো অভাব নেই উল্লেখ করে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ পরিমাণ চালের মজুদ আছে।

সারা দেশে ওএমএস ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি এবং টিসিবির কার্ডধারী ব্যক্তিদের মধ্যে চাল ও আটা বিতরণ উপলক্ষে মঙ্গলবার দুপুরে নওগাঁ সার্কিট হাউস মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

চাল সংগ্রহ অভিযান আরও দুই দিন চলবে জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, চলতি বোরো সংগ্রহ অভিযানে গতকাল সোমবার পর্যন্ত ১৯ লাখ ৫০ হাজার ৫৩১ মেট্রিক টন চাল সংগৃহীত হয়েছে। চালের এই মজুত এ যাবৎকালের মধ্যে সর্বোচ্চ। সংগ্রহ অভিযান বুধবার পর্যন্ত চলবে। দুই দিনে লক্ষ্যমাত্রার বাকি ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ হয়ে যাবে।

মানুষের কষ্ট লাঘবের জন্য ওএমএসের ডিলার প্রায় তিন গুণ বাড়ানো হয়েছে উল্লেখ করে সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, সম্প্রতি আমাদের হিসাবের বাইরে হঠাৎ চালের দাম পাঁচ থেকে ছয় টাকা বাড়ায় মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন। মানুষের কষ্ট লাঘবে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে সারা দেশে এক যোগে ওএমএস ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি চালু থাকবে।

মন্ত্রী বলেন, পূর্বে সারা দেশে থাকা ৮১৩টি ওএমএস কেন্দ্র বাড়িয়ে ২ হাজার ৩৬৩টি করা হয়েছে। আগে একজন ওএমএসের ডিলার এক টন চাল বরাদ্দ পেতেন। এখন প্রত্যেক ডিলার দুই মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ পাবেন। এ ছাড়া সিটি শহরগুলোয় ট্রাক সেলে সাড়ে তিন মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ পাবেন।’

সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ওএমএসের প্রতি কেজি চালের মূল্য হবে ৩০ টাকা। ওএমএস কেন্দ্রে টিসিবি কার্ডধারী ব্যক্তিদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। টিসিবি কার্ডধারীরা কার্ড দেখিয়ে এবং সাধারণ মানুষ জাতীয় পরিচয়পত্র দেখিয়ে মাসে দুই বার পাঁচ কেজি করে চাল কিনতে পারবেন। এক ব্যক্তি যেন বারবার চাল কিনতে না পারেন, সেটাও নিশ্চিত করা হবে।

খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির মাধ্যমে সারা দেশে ৫০ লাখ পরিবারের মধ্যে চাল বিতরণ করা হবে। প্রতিটি পরিবার ১৫ টাকা কেজি দরে মাসে একবার ৩০ কেজি চাল কিনতে পারবে। লক্ষ্যমাত্রার ৫০ লাখ পরিবারের মধ্যে ইতিমধ্যে ৮০ শতাংশ পরিবারের যাচাই-বাছাই কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আগামী মাসের মধ্যে বাকি ২০ শতাংশ পরিবারের যাচাই-বাছাই কাজ শেষ হবে। ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে সুবিধাভোগী প্রতি পরিবারকে স্মার্ট কার্ড দেওয়া হবে। এর ফলে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতেও কেনো অনিয়মের সুযোগ থাকবে না। এদিকে তেলের দাম কমানো, ওএমএস ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি চালুর ফলে কিছু দিনের মধ্যেই বাজারে চালের দাম সহনীয় মাত্রায় চলে আসবে।