ডিজেল ও পেট্রলসহ জ্বালানির দাম কমার পরিপ্রেক্ষিতে আজ সন্ধ্যার মধ্যে গণপরিবহন, পণ্য পরিবহন, নির্মাণসামগ্রী ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম সমন্বয়ের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সাধারণ নাগরিক সমাজ।
মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন আহমেদ এ দাবি করেছেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, প্রতি লিটারে পাঁচ টাকা কমিয়ে জ্বালানি মন্ত্রণালয় নাগরিকদের সামনে পাঁচ টাকার মুলা ঝুলিয়ে দিয়েছে। ৬ আগস্ট সরকার জ্বালানি তেলের মূল্য এক লাফে প্রতি লিটারে ৪৪ টাকা বৃদ্ধি করে। এর বিরূপ প্রভাব পড়তে শুরু করে দ্রব্যমূল্য, গণপরিবহন, পণ্য পরিবহন, ওষুধ, নির্মাণসামগ্রী, টয়লেট্রিজ পণ্য, চিকিৎসা, বিনোদন সব জায়গায়। এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে দাম বাড়েনি।
তিনি আরও বলেন, সরকার আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে মিল রেখে তেলের মূল্য সমন্বয় না করে জনগণের সামনে পাঁচ টাকার মুলা ঝুলিয়ে দেওয়ার মতো কাজ করেছে। আমরা আশা করি সামনের দিনে সরকার গণশুনানির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে মিল রেখে এবং নাগরিকদের সাধ্যের কথা বিবেচনা করে জ্বালানি তেলের সঠিক মূল্য নির্ধারণ করবেন।
‘তবে যেহেতু ৫ টাকা কমিয়েছেন তাই আমরা আজ সন্ধ্যার মধ্যে গণপরিবহন, পণ্য পরিবহন, নির্মাণ সামগ্রী, বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রীর মূল্য- সব ক্ষেত্রে এই পাঁচ টাকার সমন্বয়ের ঘোষণা দেবেন। জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে যদি ব্যবসায়ীদের দাবি সমন্বয় করা হয়, তাহলে কমানোর ফলে নাগরিকদের দাবি কেন সমন্বয় করা হবে না?’
সোমবার দেশের বাজারে সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম লিটারপ্রতি পাঁচ টাকা কমিয়ে গেজেট জারি করে সরকার। ডিজেল, কেরোসিন, পেট্রল ও অকটেনের দাম সোমবার দিনগত রাত ১২টার পর থেকে কার্যকর হয়েছে।
নতুন দাম অনুযায়ী, ভোক্তা পর্যায়ে লিটারপ্রতি ডিজেল ১১৪ টাকা থেকে কমিয়ে ১০৯ টাকা, কেরোসিন ১১৪ টাকা থেকে ১০৯ টাকা, অকটেন ১৩৫ টাকা থেকে ১৩০ টাকা এবং পেট্রলের দাম ১৩০ টাকা থেকে কমিয়ে ১২৫ টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার।