মাঝআকাশে প্লেনের ককপিটে বসেই মারামারিতে জড়িয়েছেন এয়ার ফ্রান্সের দুই পাইলট। গত জুন মাসে জেনেভা থেকে প্যারিসগামী একটি ফ্লাইটে ঘটেছে এ ঘটনা। এর জেরে তাদের দুজনকেই সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
সুইস লা ট্রিবিউনা ডেইলির খবর অনুসারে, প্লেনটি উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরেই তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েন এর পাইলট ও কো-পাইলট। একপর্যায়ে একে অপরের শার্টের কলার ধরেন এবং মারামারিও শুরু করেন তারা।
কেবিন ক্রুদের হস্তক্ষেপে শেষপর্যন্ত মারামারি থামে। তবে ফের ঝামেলা যেন না হয়, তার জন্য একজন কেবিন ক্রু বাকি পুরোটা পথ পাইলটদের সঙ্গে ককপিটেই ছিলেন।
গত রোববার (১৮ আগস্ট) এয়ার ফ্রান্সের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, পাইলটদের মারামারি সত্ত্বেও ফ্লাইটটি নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছায়।
গত বুধবার ফ্রান্সের বিমান তদন্ত সংস্থা বিইএ’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এয়ার ফ্রান্সের কিছু পাইলটের নিরাপত্তা প্রোটোকল অনুসরণে কঠোরতার অভাব রয়েছে। প্রতিবেদনটি প্রকাশের পরেই পাইলটদের মারামারির খবর সামনে আসে।
২০২০ সালে ডিসেম্বরে কঙ্গো থেকে প্যারিসগামী একটি ফ্লাইটে জ্বালানি লিকেজের ওপর মূল লক্ষ্য রেখে প্রতিবেদনটি তৈরি হয়। ওইদিন পাইলটরা প্লেনের গন্তব্য ঘুরিয়ে নিলেও নিয়মানুসারে ইঞ্জিনের বিদ্যুৎসংযোগ বন্ধ করেননি বা দ্রুততম সময়ে অবতরণের চেষ্টা করেননি।
প্লেনটি পার্শ্ববর্তী দেশ চাদে নিরাপদেই অবতরণ করেছিল। তবে সেটিতে যেকোনো সময় আগুন ধরে যেতে পারতো বলে উল্লেখ করা হয়েছে বিইএ’র প্রতিবেদনে।
২০১৭ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে এ ধরনের আরও তিনটি ঘটনার কথা উল্লেখ করা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে, যেখানে পাইলটরা সুরক্ষা প্রোটোকল অনুসরণের পরিবর্তে ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তে পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করেছিলেন।
সূত্র: খবর আল জাজিরা