Can't found in the image content. ক্ষুধা নিয়ে ঘুমাতে যাচ্ছে শ্রীলঙ্কার শিশুরা, প্রতিবেশীদেরও সতর্ক করলো জাতিসংঘ | ফ্রিডম বাংলা নিউজ
ফ্রিডম বাংলা নিউজ

রবিবার, ডিসেম্বর ২২, ২০২৪ |

EN

ক্ষুধা নিয়ে ঘুমাতে যাচ্ছে শ্রীলঙ্কার শিশুরা, প্রতিবেশীদেরও সতর্ক করলো জাতিসংঘ

বিশ্ব বাংলা ডেস্ক | আপডেট: শনিবার, আগস্ট ২৭, ২০২২

ক্ষুধা নিয়ে ঘুমাতে যাচ্ছে শ্রীলঙ্কার শিশুরা, প্রতিবেশীদেরও সতর্ক করলো জাতিসংঘ

ছবি: সংগৃহীত

অর্থনৈতিক সংকটের কারণে ক্ষুধা নিয়ে শ্রীলঙ্কান শিশুদের ঘুমাতে হচ্ছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। পাশাপাশি সংস্থাটি সতর্ক করে জানিয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ার আরও কয়েকটি দেশও এমন সঙ্কটে পড়তে পারে।

শুক্রবার (২৬ আগস্ট) জাতিসংঘের প্রতিবেদেনে এ তথ্য জানানো হয়। খবর এনডিটিভি।

ইউনিসেফের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক পরিচালক জর্জ লরিয়া-আজেই বলেছেন,  শ্রীলঙ্কায় বর্তমানে খাবারের সরবরাহব্যবস্থায় সংকট রয়েছে। দেশটির শিশুরা নিয়মিত বিরতিতে খাবার পাচ্ছে না। এর জন্য শিগগিরই তাদের পুষ্টিহীনতা প্রকট হতে পারে। দেশটিতে প্রধান খাদ্যপণ্যের অভাব দিনকে দিন প্রবল হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ‘শ্রীলঙ্কায় শিশুরা ক্ষুধা নিয়ে ঘুমাতে যাচ্ছে। একবার খাওয়ার পর পরবর্তী কোন সময়ে তারা আবার খাবার পাবে, তার কোনো নিশ্চয়তা এখন নেই।’

জর্জ লরিয়া-আজেই বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়াজুড়েই অর্থনৈতিক সংকট প্রকট হচ্ছে। বাড়ছে মূল্যস্ফীতি। ফলে এই অঞ্চলের শিশুদের জীবন হুমকির মুখে পড়ছে। শ্রীলঙ্কায় যেমনটা দেখা যাচ্ছে, সেটি দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের জন্য সতর্কবার্তা।’

এদিকে ইউনিসেফ শ্রীলঙ্কার শিশু জনসংখ্যার অন্তত অর্ধেকের জন্য জরুরি প্রয়োজন মেটাতে ২৫ মিলিয়ন ডলার আবেদন করেছে।

গত বুধবার দেশটির প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে ৩০০ পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন।

এছাড়াও দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছিল, দেশটির অভ্যন্তরীণ মুদ্রা প্রবাহ তুলনামূলক বৃদ্ধি পাওয়া সংকট কমে আসছে। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এমন আশাবাদ আমলে না নিয়েই নতুন করে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। তবে এমন পদক্ষেপের পরও সংকট কাটার কোনো আভাস দেয়নি ব্যাংক। উল্টো আগামী মাসে চলমান মুদ্রাস্ফীতি সর্বোচ্চ হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে।

শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি চলতি বছরে অন্তত ৮ শতাংশ সংকুচিত হবে বলে ধারণা করছে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আগামী সেপ্টেম্বরে মুদ্রাস্ফীতি রেকর্ড ৬৫ শতাংশে পৌঁছানোর পূর্বাভাসও রয়েছে। দেশটির বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ এরই মধ্যে ৫১ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।