ভারত হয়ে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা দিয়ে নেপাল থেকে বাংলাদেশে প্রাথমিক পর্যায়ে ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি সংক্রান্ত সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশ ও নেপাল যৌথভাবে ভারতকে অনুরোধ করবে।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ-নেপাল জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ (জেডব্লিউজি) ও জয়েন্ট স্টিয়ারিং কমিটির (জেএসসি) চতুর্থ বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। খবর দ্য কাঠমান্ডু পোস্টের।
বাংলাদেশের পক্ষে বৈঠকে অংশ নিতে নেপালে গিয়েছেন বিদ্যুৎ সচিব হাবিবুর রহমানের নেতেৃত্বে ৭ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। বৈঠকে নেপালের পক্ষে ছিলেন দেশটির জ্বালানি, পানিসম্পদ ও সেচবিষয়ক সচিব সুশিল চন্দ্র তেওয়ারি।
এ বৈঠকে অংশ নেওয়া পাওয়ার সেলের মহাসচিব মোহাম্মদ হোসেন দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, বিদ্যমান লাইন দিয়েই বিদ্যুৎ আসবে।
"নেপাল ভারতকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে এবংভেড়ামারা এইচভিডিসি ট্রান্সমিশন লাইন দিয়ে ভারত আমাদের বিদ্যুৎ পাঠাবে," বলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার নেপালের জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এ বৈঠকে বাংলাদেশ নেপালকে জানিয়েছে, নেপালে ভারতের জিএমআর গ্রুপের নির্মিত ৯০০ মেগাওয়াটের আপার কার্নালি জল বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেনার চুক্তি সেপ্টেম্বরের মধ্যে চূড়ান্ত করবে বাংলাদেশ।
৬৮৩ মেগাওয়াটের সানকোশি-৩ জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের পরিবেশগত প্রভাব-সংক্রান্ত প্রতিবেদন বাংলাদেশকে হস্তান্তরের সিদ্ধান্তও নেওয়া হয় এ বৈঠকে।
২০১৩ সালে ভেড়ামারা-বহরমপুর আন্তঃসীমান্ত বিদ্যুৎ ট্রান্সমিশন লাইন উদ্বোধন করে ভারত-বাংলাদেশ।
বর্তমানে এই লাইন দিয়ে ১০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করে বাংলাদেশ।
২০১৯ সালে জিএমআরের সাথে বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি (পিপিএ) করে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি), স্বাক্ষরিত পিপিএ মন্ত্রীসভায় জমা দেওয়া হয়।
নেপাল-বাংলাদেশের মধ্যে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সঞ্চালনের জন্য তিন দেশের ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা চুক্তির বিষয়ে চেষ্টা করতে একমত হয়েছে উভয় পক্ষ।