Can't found in the image content. বিকেলে চা-বাগান মালিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন প্রধানমন্ত্রী | ফ্রিডম বাংলা নিউজ
ফ্রিডম বাংলা নিউজ

সোমবার, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪ |

EN

বিকেলে চা-বাগান মালিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: শনিবার, আগস্ট ২৭, ২০২২

বিকেলে চা-বাগান মালিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন প্রধানমন্ত্রী

ফাইল ছবি

মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে চা শ্রমিকদের আন্দোলনের মধ্যেই তাদের সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে চা বাগান মালিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বিকাল ৪টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এমএম ইমরুল কায়েস জানান, চা শ্রমিকদের সমস্যা সমাধানে শনিবার চা বাগানের মালিকদের সঙ্গে আলোচনায় বসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ দিন বিকাল ৪টায় গণভবনে সভাটি অনুষ্ঠিত হবে।

দেশে নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত মিলিয়ে চা বাগান রয়েছে আড়াইশর কাছাকাছি। এর মধ্যে চা বোর্ডের নিবন্ধিত চা বাগান রয়েছে ১৬৭টি। মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, সিলেট, চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও—এ সাত জেলার মোট ২ লাখ ৭৯ হাজার ৫০৬ দশমিক ৮৮ একর জমিতে গড়ে উঠেছে চা বাগানগুলো। আর এ চা বাগানে শ্রমিকের সংখ্যা দেড় লাখেরও বেশি।

বর্তমানে দৈনিক মজুরি ১২০ থেকে বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করার দাবিতে আন্দোলন করছেন চা শ্রমিকরা। গত ৯ আগস্ট এ আন্দোলন শুরু হয়। শুরুতে প্রথম কয়েকদিন কেবল ২ ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করা হয়। সে সময় মজুরি বৃদ্ধি ও মজুরি চুক্তি বাস্তবায়নের দাবিতে শ্রমিক ইউনিয়নগুলোর পক্ষ থেকে বাগান মালিকদের সাতদিনের আলটিমেটাম দেয়া হয়। কিন্তু মালিক পক্ষ এ সময়ের মধ্যে বৈঠক বা সমঝোতায় না আসায় ১৩ আগস্ট থেকে লাগাতার পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি পালন শুরু করেন শ্রমিকরা। এর মধ্যে শুধু জাতীয় শোক দিবসের দিন বিক্ষোভ কর্মসূচি বন্ধ থাকে।

২০ আগস্ট সরকারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসে চা শ্রমিক ইউনিয়ন। বৈঠকে চা শ্রমিকদের মজুরি ১২০ থেকে ২৫ টাকা বাড়িয়ে ১৪৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়। পরবর্তী সময়ে শ্রমিক ইউনিয়ন কাজে ফেরার ঘোষণা দিলে কয়েকটি বাগানে শ্রমিকরা কাজে ফিরেছিলেন। কিন্তু পরে অন্যরা এ মজুরি মানেননি এবং আবারো কাজ বন্ধ করেন। তারা আগের মতোই ৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রাখেন।

চা শ্রমিকদের দাবি, প্রধানমন্ত্রী নিজের মুখে না বললে তারা সরকারি কর্মকর্তাদের কথায় আস্থা রাখতে পারছেন না। মজুরি বাড়ানোর বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী ভিডিওতে হলেও তাদের উদ্দেশে আশ্বাস দিলে তারা কাজে ফিরবেন।