ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪ |

EN

শতাধিক সমর্থক নিয়ে আ. লীগ সভানেত্রীর কার্যালয়ে সোহেল তাজ

নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: শুক্রবার, আগস্ট ২৬, ২০২২

শতাধিক সমর্থক নিয়ে আ. লীগ সভানেত্রীর কার্যালয়ে সোহেল তাজ
বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের একমাত্র পুত্র তানজিম আহমদ সোহেল তাজ। এক দশক আগে রাজনীতি থেকে বিদায় নেন তিনি। তবে আবার রাজনীতিতে ফিরছেন এমন গুঞ্জনের মধ্যে শতাধিক নেতাকর্মী ও সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর কার্যালয়ে গিয়েছেন সাবেক এ স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) রাতে রাজধানীর ধানমন্ডির কার্যালয়ে যান তিনি।

এ সময় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে আলাপও করেন তিনি।

রাজনীতিতে সক্রিয় হচ্ছেন কিনা-এমন প্রশ্নের জবাবে সাংবাদিকদের সোহেল তাজ বলেন, ‘রাজনৈতিক পরিবারেই আমার জন্ম। আমাদের রক্তের ভেতরে মিশে আছে আওয়ামী লীগ। আমি কোনো সময়ই রাজনীতির বাইরে ছিলাম না। মাঝখানে কিছুদিন ব্যক্তিগত কাজে ছিলাম। এখন পার্টি অফিসে আসছি, নিয়মিত আসার চেষ্টা করব’।

সোহেল তাজ বলেন, দলের প্রয়োজনে ডাক পড়লে রাজপথে থেকে আমি কাজ করতে প্রস্তুত। ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় যেমন ছিলাম, ঠিক সেভাবেই থাকব, সেভাবেই কাজ করব।

শুক্রবার (১২ আগস্ট) তার ছোট বোন মাহজাবিন আহমদ মিমি তার ফেসবুক টাইমলাইনে একটি স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আসন্ন কাউন্সিল অধিবেশনে তানজিম আহমদ (সোহেল তাজ) দলীয় নেতৃত্বে আসছেন, ইনশাআল্লাহ। জয় বাংলা! জয় বঙ্গবন্ধু! জয়তু শেখ হাসিনা! বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।’

এই স্ট্যাটাসের সূত্র ধরে আওয়ামী লীগের একাধিক নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে বিষয়টি নিয়ে কেউ মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর একজন সদস্য বলেন, এটা আমাদের নেত্রীর বিষয়। নেত্রী যদি মনে করেন, তাকে দলে আনতেই পারেন। এ বিষয়ে আমাদের মন্তব্য করার সুযোগ নেই।

সোহেল তাজ ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনে গাজীপুর-৪ (কাপাসিয়া) থেকে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালে একই আসন থেকে আবারও নির্বাচিত হন। ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভায় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান সোহেল তাজ।

তবে সেই পদে তিনি বেশি দিন থাকেননি। ওই বছরই ৩১ মে মন্ত্রিসভা থেকে ব্যক্তিগত কারণে তিনি পদত্যাগ করেন। আর ২০১২ সালের ২৩ এপ্রিল সংসদ সদস্য পদ থেকেও পদত্যাগ করেন তিনি। এরপর থেকে রাজনীতি থেকে দূরে রয়েছেন তাজউদ্দীনের পুত্র।