মিয়ানমারে নিযুক্ত ব্রিটেনের সাবেক রাষ্ট্রদূত ভিকি বোম্যানকে ইয়াঙ্গুনে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার মিয়ানমারের বৃহত্তম এই শহরে ভিকির সঙ্গে তার স্বামীকেও গ্রেপ্তার করেছে জান্তা নিয়ন্ত্রিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
ইয়াঙ্গুনের একাধিক সূত্র বিবিসিকে বলেছে, ভিকি বোম্যান ও তার স্বামীকে ইয়াঙ্গুনের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অভিবাসন সংক্রান্ত একটি অভিযোগ রয়েছে।
দেশটিতে নিযুক্ত ব্রিটেনের দূতাবাস বলছে, তারা বোম্যানকে কনস্যুলার সহায়তা প্রদান করছে। বোম্যান ওই শহরটিতে মিয়ানমার সেন্টার ফর রেসপনসিবল বিজনেস (এমসিআরবি) নামের একটি সংস্থা পরিচালনা করেন। তার স্বামী হতেইন লিন একজন বার্মিজ শিল্পী এবং সাবেক রাজনৈতিক বন্দি।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে ২০০২ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত রাষ্ট্রদূত নিযুক্ত ছিলেন বোম্যান। মিয়ানমারে ব্যবসা করছে এমন বিভিন্ন কোম্পানি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছে ব্রিটেন। এছাড়া আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতেও (আইসিজে) দেশটির বিরুদ্ধে মামলায় যোগ দিয়েছে লন্ডন। এ নিয়ে দুই দেশের তীব্র উত্তেজনার মাঝে ব্রিটেনের সাবেক রাষ্ট্রদূতকে গ্রেপ্তার করল মিয়ানমার।
২০১৬ এবং ২০১৭ সালে রাখাইনে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর গণহত্যা চালানোর অভিযোগ এনে আইসিজেতে মামলা করেছে আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়া। রোহিঙ্গা ইস্যুতে গাম্বিয়ার এই মামলায় আনুষ্ঠানিক সমর্থন দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ব্রিটেন। ফলে আইসিজেতে মালদ্বীপ, নেদারল্যান্ডস এবং কানাডার পর চতুর্থ দেশ হিসেবে ব্রিটেনের সমর্থন পেয়েছে গাম্বিয়া।
তবে বুধবার ব্রিটেনের সাবেক রাষ্ট্রদূতকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে বারবার যোগাযোগ করা হলেও মিয়ানমারের সামরিক জান্তা সরকারের মুখপাত্র কোনও সাড়া দেয়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
সূত্র: রয়টার্স।