Can't found in the image content. শরীর ঢাকা পোশাক পরায় মুসলিম মা-মেয়েকে নামতে দেয়া হলো না পুলে | ফ্রিডম বাংলা নিউজ
ফ্রিডম বাংলা নিউজ

সোমবার, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪ |

EN

শরীর ঢাকা পোশাক পরায় মুসলিম মা-মেয়েকে নামতে দেয়া হলো না পুলে

বিশ্ব বাংলা ডেস্ক | আপডেট: বৃহস্পতিবার, আগস্ট ২৫, ২০২২

শরীর ঢাকা পোশাক পরায় মুসলিম মা-মেয়েকে নামতে দেয়া হলো না পুলে

ছবি: সংগৃহীত

একজন মুসলিম মা ও তার মেয়ে বুরকিনি (বিশেষ সাঁতারের পোশাক) পরায় কানাডার একটি ওয়াটার পার্কে তাদের সাঁতার কাটতে দেওয়া হয়নি। ম্যানিটোবা প্রদেশের রাজধানী উইনিপেগে সম্প্রতি এ ঘটনা ঘটেছে।

আনাদোলু এজেন্সির বরাতে জিও টিভি এক প্রতিবেদনে জানায়, মা হালিমা জেলুল, তার স্বামী এবং দুই মেয়ে সেখানকার রিসোর্টে একটি রুম বুক করেছিলেন। সেখানে গেলে পরিবারটিকে বলা হয় তারা পুলে বুরকিনি পরে সাঁতার কাটতে পারবেন না। বুরকিনি নারীদের বিশেষ সাঁতারের পোশাক, যেটি পরলে শরীরের বেশিরভাগ ঢেকে থাকে।

২০১৬ সাল থেকে ফরাসী সংস্কৃতি ও সমাজের ঐতিহ্যের পরিপন্থী এ যুক্তি দেখিয়ে ফ্রান্সে সৈকত এবং সুইমিং পুলে মুসলিম নারীদের বুরকিনি পরে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। পরে এই নিয়ম ইউরোপীয় দেশগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। 

এবার কানাডায়ও এটি অনুসরণের চেষ্টা করা হলো। তবে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ফরাসীভাষী জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত কুইবেক প্রদেশে বুরকিনির ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাখ্যান করেছেন।

হালিমা জেলুল নামে ওই মা বলেন, ‘রিসোর্টের মালিক আমাদের বলেন- বুরকিনি পরার কারণে আমি এবং আমার মেয়েকে পুলে নামার অনুমতি দেয়া যাবে না। শুনে আমার মেয়ে কাঁদছিল। আমাদের জন্য এটি কোনো সুখকর ঘটনা ছিল না।’

হালিমা আরও বলেন, ‘প্রতিনিয়তই সৈকতে আমাদের এ রকম অভিজ্ঞতা হয়ে থাকে। মানুষ আমাদের দিকে এমনভাবে তাকিয়ে থাকে যেন তারা কিছু বুঝতে পারছে না। দেখছে দেখুক। কিন্তু তাদের বিষয়টা বোঝা উচিত।’

হালিমার বড় মেয়ে সালমা দৌইদা বলে, ‘অবশ্যই আমার খুব অস্বস্তি হচ্ছিল। তবে এ ঘটনায় আমি বিস্মিত হইনি।’ সে আরো যোগ করে, ‘মুসলিম নারীসহ যে কারো শালীন পোশাক পরার অধিকার রয়েছে।’

খবরে বলা হয়, পরে সমস্যা সমাধানের জন্য একজন স্বাস্থ্য পরিদর্শককে ডাকা হয়। পরিদর্শক যখন জানান বুরকিনি পরে পুল বা ওয়াটার পার্কে প্রবেশ করা জনস্বাস্থ্য নিয়মের বিরুদ্ধে নয়, তখন পরিবারটিকে পুলে নামার অনুমতি দেয়া হয়। তবে ততক্ষণে তারা রিসোর্ট থেকে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।

এদিকে রিসোর্টের মালিক ড্যান মানাইগ্রে জানিয়েছেন, তিনি ভেবেছিলেন এটি রাস্তায় পরার পোশাক এবং এটি যদি পুলে পরা হয় তবে জনস্বাস্থ্য নিয়মের লঙ্ঘন হবে। মানাইগ্রে আরো বলেছেন, ‘আমি পরিবারটির কাছে ক্ষমা চাইতে ইচ্ছুক, কারণ আমি এ বিষয়ে জানতাম না।’