অপরিকল্পিত স্থাপনার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) মীর মশাররফ হোসেন হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) বেলা ২ টায় এম এইচ হলের সামনে প্রায় ১০০ জন শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে এ প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হয়। এ সময় তারা ৫ দফা দাবি উত্থাপন করে।
দাবিগুলো হলো অপরিকল্পিত কাজ বন্ধ করতে হবে, হল অফিস থেকে ৬০ ফিটের মধ্যে কোনো স্থাপনা করা যাবে না, স্থাপনার জন্য হল এর পরিবেশ নষ্ট করা যাবে না, হল থেকে সেন্ট্রাল ফিল্ডে যাওয়ার রাস্তা রাখতে হবে, হল এর সামনের দোকান গুলো প্রকল্পের বাইরে রাখতে হবে।
এ সময় আইন ও বিচার বিভাগের ৪৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী সাইমন বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতোমধ্যে একটি সুইমিং পুল আছে৷ সেটাকে ফেলে রেখে টাকা নষ্ট করে নতুন করে সুইমিং পুল বানানোর কি প্রয়োজন? এটাকে মেরামত করলেই হয়। স্পোর্টস কমপ্লেক্সের নামে মীর মোশাররফ হলের রাস্তা অদৃশ্য করে ফেলা হয়েছে। আমাদের হলের কাছাকাছি কোন খাবারের দোকান নাই। এসব বিষয় মাথায় রেখে আমাদের এই মানববন্ধন৷'
এ সময় উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের ৪৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী উৎপল কুমার রায় বলেন, 'সবুজের অস্তিত্ব নষ্ট করে স্থাপনা নির্মাণ করাটা অযৌক্তিক। ক্যাম্পাসে পূর্বের জিমনেশিয়াম বিল্ডিং, সুমিং পুল পরিত্যক্ত অবস্থায় ফেলে রেখে নতুন করে নির্মাণ করাটা অপচয় ছাড়া আর কিছু না। হলের সীমনাঘেষে নির্মাণ কাজের জন্য হলের সামনে খাবারের দোকান, স্টেশনারী উচ্ছ্বেদ হলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা দুর্ভোগে পড়বে।
তিনি আরো বলেন, ''কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে যাওয়ার রাস্তাটি বন্ধ হয়ে গেলে আবাসিক শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে অসুবিধা হবে।
স্থাপনার মাস্টারপ্ল্যানের সময় এই রাস্তার পরিবর্তে বিকল্প রাস্তা দেওয়া এবং স্থাপনার অধিনে পড়ে যাওয়া দোকান পুণঃনির্মাণের আশ্বাস দিলেও বাস্তবতা ভিন্ন।'
এছাড়াও দর্শন বিভাগের ৫০ ব্যাচের শিক্ষার্থী ফয়সাল আহমেদ মারুফ বলেন, ' সংস্কার না করে অযথাই একটি সুইমিং পুল নির্মাণ করা হচ্ছে। আমরা এর জন্য ধিক্কার জানাই।অচিরেই এটা বন্ধ না করলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনের দিকে অগ্রসর হবো৷'
প্রসঙ্গত, 'জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন' প্রকল্পের আওতায় ১১৯ কোটি ৩৬ লাখ ১ হাজার ৩৬১ টাকা ব্যয়ে মীর মশাররফ হোসেন হল অফিসের পেছনে তিন তলা বিশিষ্ট স্পোর্টস কমপ্লেক্স নির্মাণের কাজ চলছে।