Can't found in the image content. ১৫ ও ২১ আগস্টের খুনিরা একই আদর্শে বিশ্বাসী: দীপু মনি | ফ্রিডম বাংলা নিউজ
ফ্রিডম বাংলা নিউজ

সোমবার, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪ |

EN

১৫ ও ২১ আগস্টের খুনিরা একই আদর্শে বিশ্বাসী: দীপু মনি

নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: বৃহস্পতিবার, আগস্ট ২৫, ২০২২

১৫ ও ২১ আগস্টের খুনিরা একই আদর্শে বিশ্বাসী: দীপু মনি
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট এবং ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার অগ্নিসন্ত্রাসীরা একই আদর্শে বিশ্বাসী। তারা দেশে ১৫ আগস্টের মতো আরেকটি ১৫ আগস্ট ঘটানোর আস্ফালন দেখাচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আইভী রহমান পরিষদ আয়োজিত ‘শহীদ আইভী রহমান স্মরণে’ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের সচেতন থাকতে হবে। মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শের দলের পথ কখনো কুসুমাস্তীর্ণ ছিল না। সবসময়ই এটি ছিল কাঁটা বিছানো। আমাদের বঙ্গবন্ধুর আদর্শ মনেপ্রাণে ধারণ করতে হবে। তাহলেই বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা ও অসাম্প্রদায়িক শোষণহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা করা যাবে।

তিনি বলেন, ২০১৩-১৪ সালের অগ্নিসন্ত্রাসীরা ২১ আগস্টে গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিল। ৭৫ এর ১৫ আগস্টের ঘটনাসহ এখনো যারা ষড়যন্ত্র করছে তারা একই আদর্শে বিশ্বাসী।

আইভী রহমান সম্পর্কে তিনি বলেন, বেগম আইভী রহমান রাজনীতিতে শুদ্ধাচার ও শিষ্টাচারের অনন্য দৃষ্টান্ত। জিল্লুর রহমানের রাজনৈতিক জীবনে অনেক অবদান ছিল। তিনি স্বামীকে অনুপ্রাণিত করছেন। নিজেও সোচ্চার ছিলেন। তিনি তার পুরো রাজনৈতিক জীবনে কর্মীবান্ধব নেতা ছিলেন। জনসভায় তিনি কর্মীদের পাশে বসেছিলেন। তিনি অসম্ভব রুচিসম্পন্ন মানুষ ছিলেন। তিনি বিভিন্ন ভূমিকায় অবতীর্ণ ছিলেন। সন্তানদের মানুষ করেছেন। নারীদের সংগঠিত করেছেন। দায়িত্বশীল স্ত্রী ছিলেন। নারীর অধিকার আদায়ে আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে ভূমিকা রেখেছেন।

মন্ত্রী বলেন, আইভী রহমানের রক্তাক্ত শরীর কোনোভাবে ভুলতে পারি না। কী নির্মম। বেগম আইভী রহমান এমনভাবে আহত হন যে তার প্রাণের শঙ্কা রয়েছে। তৎকালীন সরকার তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে দেয়নি। তার সন্তানদের ঠিকমতো দেখতে দেওয়া হয়নি। নাটক করেছে। বলেছে জানাজা পড়ানো যাবে না। তারা গোপনে দাফন করতে চেয়েছিলেন। তারা যে অন্যায় করেছে। তারা ধামাচাপা দিতে।

ক্লাসে না পড়িয়ে শিক্ষকদের কোচিং সেন্টারে পড়ানোর বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোনো কোনো জায়গায় দুর্বল শিক্ষার্থীদের জন্য কোচিংয়ের দরকার হতে পারে। বিদেশেও এ ধরনের কোচিং আছে। কিন্তু শিক্ষকরা ক্লাসে ভালোভাবে না পড়িয়ে কোচিং সেন্টারে পড়িয়ে যদি নম্বর কম দেওয়ার ভয় দেখান তাহলে এটি বৈষম্যমূলক এবং অনৈতিক। এটি অপরাধজনক। সেটি যাতে না করতে পারে সেজন্য নতুন শিক্ষা আইনে এটি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, বাংলাদেশ কৃষক লীগের সহ-সভাপতি শেখ মো. জাহাঙ্গীর আলম, অ্যাডভোকেট এবিএম বায়েজীদ, রোকনউদ্দিন পাঠান, এমএ করিম প্রমুখ।