ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪ |

EN

করোনাভাইরাস পরিস্থিতি

বিশ্বে করোনায় একদিনে মৃত্যু সাড়ে ১৮শ, শনাক্ত প্রায় ৭ লাখ

বিশ্ব বাংলা ডেস্ক | আপডেট: বৃহস্পতিবার, আগস্ট ২৫, ২০২২

বিশ্বে করোনায় একদিনে মৃত্যু সাড়ে ১৮শ, শনাক্ত প্রায় ৭ লাখ

ফাইল ছবি

চলমান করোনা মহামারিতে বিশ্বজুড়ে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা আরও বেড়েছে। একইসঙ্গে আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন সাড়ে ১৮শ মানুষ। একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে প্রায় ৭ লাখে।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে জাপানে। অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রাণহানির তালিকায় এরপরই রয়েছে জাপান, ব্রাজিল, ইতালি, হাঙ্গেরি, রাশিয়া ও মেক্সিকো। এতে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬০ কোটি ৩০ লাখের ঘর। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬৪ লাখ ৭৮ হাজার।

বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ৮৫০ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় দুইশো। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬৪ লাখ ৭৮ হাজার ৬৯৫ জনে।

একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৬ লাখ ৮৬ হাজার ৩৮৯ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে ৪০ হাজারের বেশি। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬০ কোটি ৩০ লাখ ৪৩ হাজার ৯৭ জনে।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে জাপানে। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৯৪ হাজার ২২৩ জন এবং মারা গেছেন ৩১৭ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৭৫ লাখ ১৯ হাজার ২৪৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৩৭ হাজার ৫৯৪ জন মারা গেছেন।

অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে যুক্তরাষ্ট্র। গত ২৪ ঘণ্টায় এই দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৮০ হাজার ৪৫৮ জন এবং মারা গেছেন ৩৫৬ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৯ কোটি ৫৭ লাখ ৩৩ হাজার ১০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১০ লাখ ৬৭ হাজার ৫৩৬ জন মারা গেছেন। একই সময়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৩৯ হাজার ১৬৫ জন এবং মারা গেছেন ৬৩ জন।

লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে চতুর্থ ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৯০ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ১৮ হাজার ২৭৭ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩ কোটি ৪৩ লাখ ২৯ হাজার ৬০০ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৩১ জনের।

ফ্রান্সে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২১ হাজার ২৮৯ জন এবং মারা গেছেন ৫৭ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ৪৪ লাখ ৮ হাজার ৯০১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৫৩ হাজার ৭৬২ জন মারা গেছেন। একইসময়ে ইরানে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৬৬৭ জন এবং মারা গেছেন ৪৫ জন।

ইতালিতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৫ হাজার ৩৮৮ জন এবং মারা গেছেন ১১২ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে ইউরোপের এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ১৭ লাখ ২১ হাজার ৬৩০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৭৫ হাজার ৪৩ জন মারা গেছেন। একইসময়ে তাইওয়ানে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৮ জন এবং নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ২৮ হাজার ৫৭০ জন।

রাশিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৭২ জন এবং নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ৪০ হাজার ২৩১ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৯২ লাখ ২১ হাজার ৬০২ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৮৩ হাজার ৭৫৮ জনের। একইসময়ে নিউজিল্যান্ডে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ২৭৪ জন এবং মারা গেছেন ১৭ জন।

এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় অস্ট্রেলিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ হাজার ৯৪৫ জন এবং মারা গেছেন ৪৮ জন। একইসময়ে থাইল্যান্ডে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৬২ জন এবং মারা গেছেন ২৮ জন। হাঙ্গেরিতে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ হাজার ৭৪২ জন এবং মারা গেছেন ১০৮ জন।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।