ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শনিবার, নভেম্বর ২৩, ২০২৪ |

EN

সন্তান অল্প বয়সে প্রেম করলে যা করবেন

লাইফস্টাইল ডেস্ক | আপডেট: বুধবার, আগস্ট ২৪, ২০২২

সন্তান অল্প বয়সে প্রেম করলে যা করবেন

ছবি: সংগৃহীত

মা-বাবা যখন সন্তানদের বিষয়ে জানতে পারে যে তার ছেলে বা মেয়ে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছে। তখন পরিস্থিতিকে পরিবার শুধরে নেওয়ার বদলে আরও খারাপ করে দেয়।

এ পরিস্থিতিতে জানা জরুরি যে আপনি আপনার সন্তানের সঙ্গে কীভাবে আচরণ করবেন। সন্তান বড় হয়েছে, তার বয়স প্রাপ্ত বয়স্কদের মতো হচ্ছে বা হতে চলেছে। এসময় আপনাকে ভয় দেখালে হিতে বিপরীত হতে পারে এবং আপনি তাকে ধমকে বশ মানাতে পারবেন না।
তো কি করতে হবে? আসুন জেনে নেই-

হরমোনাল চেঞ্জের সময় কি ধরনের আচরণ করা উচিত
কিশোর অবস্থাতে বিভিন্ন রকম পরিবর্তন দেখা যায়। হরমোনাল চেঞ্জ যাকে বলা হয়। এ পরিস্থিতিতে কোনো ছেলে মেয়েদের প্রতি এবং মেয়ে ছেলেদের প্রতি আকর্ষিত হওয়া সাধারণ বিষয়। এসময়ে মা-বাবার জন্য জরুরি হচ্ছে সন্তানদের বোঝা এবং তাদের সঙ্গে ভালোভাবে মিশে পরিস্থিতির সমাধান করা। তাদের এটা বোঝানো যে সবসময় তারা যে পদক্ষেপ নিচ্ছে তা ঠিক নয়। যদি ঠিক হয় তাহলে নির্দিষ্ট সময় রয়েছে।

সন্তানরা বয়ঃসন্ধিতে বহু জিনিস লুকায়
সন্তানরা যখন বয়ঃসন্ধিতে পৌঁছাবে, এ পরিস্থিতিতে আপনার কাছে সন্তানরা বেশকিছু জিনিস লুকাতে পারে। অনেকবার এমন ঘটনা ঘটে যে মা-বাবা সন্তানদের রিলেশনশিপের বিষয়ে জানতে পারার পর বেশকিছু বিষয় মাথায় আসে। এ ধরনের ঘটনা কীভাবে হয়ে পড়ল, তার এভাবে এ ঘটনা ঘটানোর সাহস কীভাবে হলো, মানুষ কী বলবে? তোমরা আমার পরিবারের নাম খারাপ করে দিয়েছ, মা বাবার মস্তিষ্কে এ ধরনের প্রশ্ন রোধের সৃষ্টি করার চেষ্টা করে এবং এর জন্য শক্তি প্রদর্শন করে এবং সন্তানরা অনেক সময় ভুল পদক্ষেপ নিয়ে বসে।

সন্তানদের রিলেশনশিপে মঞ্জুরি দিন
যখন মা বাবা সন্তানদের রিলেশনশিপের বিষয়ে জানতে পারবেন, তখন সে সন্তানদের গ্রান্ট করুন এটা খুব কঠিন কাজ। কিন্তু সরাসরি যদি আপনি আপত্তি জানান তাহলে তারা আপনাদের প্রতি উল্টো মনোভাব প্রকাশ করবে। যদি আপনি সন্তানের রিলেশনশিপ নিয়ে খুব অস্থির থাকেন তাহলে অন্য কারও সঙ্গে কথা বলুন। মনোবিদের সঙ্গেও কথা বলতে পারেন। সবার আগে আপনি মস্তিষ্ককে শান্ত করুন এবং বিষয়টি নিয়ে শান্তভাবে চিন্তাভাবনা করুন। এ বিষয়ে সোজা বাচ্চাদের ওপর রাগ হলে আপনার পার্টনারের সঙ্গে কথা বলুন।

বন্ধুর মতো মিশতে হবে
এসময়ে সন্তানদের মস্তিষ্ক এবং মনের বেশকিছু বদল ঘটে বলে শারীরিক এবং মানসিক পরিবর্তন দেখা যায়। সেটা বোঝা খুব জরুরি। ইমোশনকে বুঝতে হবে। এ স্টেজে সন্তানদের অনেক সময় ইমোশনাল হয়ে যাওয়ার প্রবণতা থাকে। যখন সন্তানরা নিজেদের বাবা-মায়ের থেকে আলাদা হয়ে নিজের স্বাধীনতার উপভোগ করতে চায় তখন তারা অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠে। এসময় বন্ধুর মতো মিশে এ বিষয়টিকে ট্রিট করতে হবে। আপনাকে এটাই বুঝতে হবে আপনার সন্তানদের এখনও পর্যন্ত আপনার প্রয়োজন রয়েছে।

লাভ রিলেশনশিপ নিয়ে সন্তানদের সঙ্গে কথা বলুন
যদি আপনি সন্তানদের রিলেশনশিপের বিষয়ে জানতে পারেন তাহলে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে হবে। ব্যালেন্সের জন্য জরুরি হলে আপনি আপনার সন্তানদের মেয়ে এবং ছেলেদের বন্ধুত্বের বিষয়ে খুলে কথা বলুন। আপনি সন্তানকে কাউন্সিলরের কাছে নিয়ে যান এবং তাদের বন্ধুদের বিষয়ে জানান। তাদের ঘরে আমন্ত্রণ করুন এবং তাদের সঙ্গে টাইম স্পেন্ড করতে পারেন।