ফ্রিডম বাংলা নিউজ

মঙ্গলবার, নভেম্বর ৫, ২০২৪ |

EN

নারীদের নগ্ন ছবি ও ভিডিও নিয়ে ব্যবসা করা গোপন জগতের সন্ধান মিলেছে

ফ্রিডমবাংলানিউজ ডেস্ক | আপডেট: বুধবার, আগস্ট ২৪, ২০২২

নারীদের নগ্ন ছবি ও ভিডিও নিয়ে ব্যবসা করা গোপন জগতের সন্ধান মিলেছে

ছবি: সংগৃহীত

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম রেডিট প্ল্যাটফর্মে নারীদের ব্যক্তিগত তথ্য, একান্ত গোপন ও অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি, ভিডিও ছড়ানোর প্রবণতা বেড়েছে। সেই সঙ্গে অজ্ঞাতপরিচয় একদল মানুষের কাছ থেকে হুমকি ও ব্ল্যাকমেইলের শিকার হচ্ছেন তারা। এরকম একটি দলের এক ব্যক্তির মুখোশ খুলে দিয়েছে বিবিসি। এ নিয়ে বিস্তারিত লিখেছেন মনিকা প্লাহা। এতে সহায়তা করেছে প্যানোরামা অনুষ্ঠান টিম।

‘নগ্ন ছবির জন্য দাম দিতে হবে মাত্র পাঁচ পাউন্ড। আমাকে সরাসরি মেসেজ (ডিএম) করুন।’

‘আমার কাছে বিক্রির জন্য তার কিছু ভিডিও-ও আছে।’

‘আমরা তাকে কি করতে চাই?’

মনিকা প্লাহা বলেন, অনলাইনে এসব মন্তব্য ও চ্যাট পড়তে এবং ছবিগুলো দেখে আমার অস্বস্তি লাগছিল। নারীদের সম্পূর্ণ নগ্ন ও অর্ধনগ্ন ছবির অফুরন্ত ভাণ্ডার রেডিট। সেসব ছবির নিচে রয়েছে পুরুষদের কুরুচিপূর্ণ ও অশ্লীল মন্তব্য। এমনকি ধর্ষণের হুমকিও। সেগুলো এতটাই অশ্লীল ও খোলামেলা যে তা শেয়ার করা অসম্ভব।

তিনি বলেন, এ খবর প্রথম আমার নজরে আনেন এক বান্ধবী। তার একটি ছবি ইনস্টাগ্রাম থেকে তুলে কেউ পোস্ট করেন। সেটি কোনো নগ্ন ছবি ছিল না। তবুও তাতে যৌন ইঙ্গিতপূর্ণ ও কুরুচি ভাষায় মন্তব্য জুড়ে দেয়া হয়েছে। সে নিজের ও অন্যান্য নারী সম্পর্কে আমার কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করে। এরপর খোঁজ নিয়ে আমি একটা বাজারের সন্ধান পাই। সেখানে রয়েছে শত শত অজ্ঞাতপরিচয় নারীর নগ্ন ছবি এবং তাদের সম্পর্কে তথ্য। ব্যবসা করার লক্ষ্যে সেগুলো শেয়ার করার জন্য দেয়া হয়েছে। 

মনিকা প্লাহা বলেন, তথাকথিত রিভেঞ্জ পর্নের এক নতুন বিবর্তন এ বাজার। যেখানে নারীদের ব্যক্তিগত যৌন জীবনের ছবি বিনা সম্মতিতে অনলাইনে প্রকাশ করা হচ্ছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এ কাজ করছেন তাদের সাবেক জীবনসঙ্গীরা ভেঙে যাওয়া সম্পর্কের তিক্ত বহিঃপ্রকাশ হিসেবে। কিছু পুরুষ পরিচয় আড়াল করে সেসব নারীর আসল পরিচয় ফাঁস করে দেয়ার জন্য হুমকি দিচ্ছেন, ব্ল্যাকমেইল করছেন। সাইবার দুনিয়ায় যা পরিচিত 'ডোক্সিং' নামে।

এভাবে অনলাইনে নারীদের ঠিকানা, ফোন নম্বর এবং টুইটারে তাদের পরিচিতি হ্যান্ডেল অন্যদের কাছে ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। এরপর ওই নারীদের লক্ষ্য করে কুরুচিকর যৌন মন্তব্য করা হচ্ছে। তাদের হুমকি দেয়া ও ব্ল্যাকমেইল করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, এসব দেখে মনে হয়েছিল আমি বোধ হয় ইন্টারনেটের খুবই অন্ধকার এক কোণায় হঠাৎ করে ঢুকে পড়েছি। কিন্তু না! এসব ঘটছে বড় একটি সামাজিক মাধ্যম প্ল্যাটফর্মে। রেডিট নিজেদের ‘ইন্টারনেটের প্রথম পাতার’ মাধ্যম হিসেবে তুলে ধরে। তাদের অনুসারীর সংখ্যা বিশ্বব্যাপী প্রতিদিন প্রায় ৫ কোটি। যার মধ্যে ব্রিটেনে ব্যবহারকারী রয়েছে প্রায় ৪০ লাখ।

রেডিট কিছু ব্যক্তিকে ফোরাম চালানোর অনুমতি দেয়। যেগুলোকে বলা হয় 'সাবরেডিট'। এ ফোরামগুলো নানা ধরনের বিষয় এবং নানা স্বার্থের সঙ্গে জড়িত। কিন্তু এর বেশিরভাগই তেমন ক্ষতিকারক নয়।

তবে বিতর্কিত যৌন কন্টেন্টকে জায়গা দেয়ার ইতিহাস রয়েছে এ প্ল্যাটফর্মের। ২০১৪ সালে এ সাইটে বিভিন্ন তারকার ব্যক্তিগত ছবি শেয়ার করার ঘটনা ধরা পড়ে। এর ৪ বছর পর রেডিট ‘ডিপফেক’ প্রযুক্তি ব্যবহার করার কারণে একটি গোষ্ঠীকে সেই প্ল্যাটফর্ম থেকে নিষিদ্ধ করা হয়। এ ‘ডিপফেক’ হলো এক ধরনের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি (এআই), যা ‘চরম ভুয়া’ জিনিস তৈরি করতে সক্ষম। এ প্রযুক্তি ব্যবহার করে গোষ্ঠীটি সেলিব্রিটিদের ছবি বসিয়ে পর্ন ভিডিও বানাচ্ছিল।

এ নিয়ে বিতর্কের জেরে মার্কিন সংস্থাটি আইনকানুন কঠোর করে। তাদের সাইটে সম্মতি ছাড়া কারো অন্তরঙ্গ বা নগ্ন ছবি এবং খোলামেলা যৌনতার কোনো জিনিসপত্র প্রকাশ বা হুমকিদান নিষিদ্ধ করার আইন আরো জোরদার করে। 

এ অনুসন্ধানকারী বলেন, আমি বোঝার চেষ্টা করি এরপরও নারীদের নগ্ন ও অন্তরঙ্গ সব ছবি কীভাবে রেডিট প্ল্যাটফর্মে শেয়ার করা হচ্ছে। যাদের ছবি প্রকাশ করা হচ্ছে, তাদের ওপর এর কী প্রভাব পড়ছে। আমি আরও জানার চেষ্টা করি-এসব ছবি প্রকাশের পেছনে আছে কারা। আমি স্পষ্ট দেখি রেডিটের জারি করা ওই নিষেধাজ্ঞা কাজ করছে না। আমাদের অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে কয়েক ডজন 'সাবরেডিট' বা মূল রেডিট প্ল্যাটফর্মের আওতার বাইরে থাকা সাইট। যেগুলোতে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে নারীদের অন্তরঙ্গ ছবি ছড়ানো হচ্ছে।

মনিকা প্লাহা বলেন, প্রথম যে সাইটটির দিকে আমি নজর দিই, সেটিতে টার্গেট করা হয় দক্ষিণ এশীয় নারীদের। ওই গ্রুপে ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ২০ হাজারের ওপর। যাদের বেশিরভাগই আপাতদৃষ্টিতে একই সম্প্রদায়ের পুরুষ। তারা কমেন্ট করেছে ইংরেজি, হিন্দি, ঊর্দু ও পাঞ্জাবি ভাষায়। এদের মধ্যে কিছু নারীকে আমি চিনতে পারি। কারণ সামাজিক মাধ্যমে তাদের ভক্ত রয়েছে বিশাল। এদের কাউকে কাউকে ব্যক্তিগতভাবেও চিনতাম।

তিনি বলেন, সবমিলিয়ে সেখানে ছিল ১৫,০০০ ছবি। সব ছবির কমেন্টে যৌনসামগ্রী হিসেবে তুলে ধরে নিকৃষ্ট শ্রেণির নারী হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। আমি নিশ্চিত ছিলাম, এসব নারীর কেউই ছবিগুলো এ ফোরামে প্রকাশ করার অনুমতি দেয়নি। সেগুলোর সবই নগ্ন নয়। তবু বাজে মন্তব্য করা হয়েছে। কখনও কখনও তাদের ফোন ও কম্পিউটার হ্যাক করে নগ্ন ছবি তুলে আনার কথাও বলা হয়েছে।

এরকম একজন নারী জানান, একটি গোষ্ঠী ইন্সটাগ্রাম থেকে স্বল্পবাস পরা তার একটি ছবি সংগ্রহ করে। সেটি পোস্ট করার পর থেকে তিনি এখন প্রতিদিন অন্তরঙ্গ ও যৌন বার্তা পাচ্ছেন। তাকে ধর্ষণ করা হবে এমন মন্তব্যও করা হয়েছে।

সাবরেডিট সাইটে পুরুষরা নারীদের নগ্ন ছবি শেয়ার করছেন। এ ধরনের ছবি বিক্রিও করছেন। এসব ছবি দেখে মনে হচ্ছে, সেগুলো সেলফি। সম্ভবত তোলা হয়েছিল জীবনসঙ্গী বা পুরুষ বন্ধুদের পাঠানোর লক্ষ্যে। সেগুলো গণহারে ছড়ানোর জন্য তোলা হয়নি।

এসব সাইটে রয়েছে এমন ভিডিও, যেগুলো আরও খোলামেলা - মনে করা হচ্ছে। যৌন সঙ্গমের সময় গোপনে এসব নারীর ছবি তোলা হয়েছে। একটি পোস্টের একগুচ্ছ বার্তার সঙ্গে একজন নগ্ন নারীর ওরাল সেক্সের ছবি দেয়া হয়েছে। এর কোনো ভিডিও আছে নাকি? অজ্ঞাতনামা এক ব্যবহারকারী প্রশ্ন করেছেন। সঙ্গে তিনি ওই নারীর একটা অসম্মানজনক নাম ব্যবহার করেছেন। 

আরেকজন লিখেছেন, আমার কাছে এ নারীর একটা পুরো ফোল্ডার-ভর্তি ছবি আছে। দাম ৫ পাউন্ড। যোগাযোগ করুন। অপর ব্যক্তি তার সামাজিক অবস্থান কী? জানতে চেয়েছেন।

আয়েশা (ছদ্মনাম) গত বছর জানতে পারেন তার ভিডিও সাবরেডিট প্ল্যাটফর্মে শেয়ার হচ্ছে। তিনি মনে করেন, সাবেক প্রেমিক গোপনে এ ছবি তুলেছেন। তাকে যে শুধু বিশ্বাসভঙ্গের সমস্যার মোকাবিলা করতে হয়েছে তা নয়, ফোরামে ব্যক্তিগত সব তথ্য পোস্ট করে দেয়ায় সামাজিক মাধ্যমে হয়রানি আর হুমকির শিকার হতে হয়েছে।

একজন হুমকি দেন, আমার সঙ্গে তুমি যৌন সম্পর্ক না করলে এ ছবি তোমার বাপ-মায়ের কাছে পাঠিয়ে দেব। আমি আসব, তোমাকে আমি খুঁজে বের করব। আমার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক করতে যদি রাজি না হও, আমি তোমাকে ধর্ষণ করব। তাকে ব্ল্যাকমেইল করা এ পুরুষ ভয় দেখানোর চেষ্টা করে হুমকি দেয়, এরকম আরও ছবি আমি ফাঁস করে দেব।

আয়েশা বলেন, আমি পাকিস্তানি মেয়ে। বিয়ের আগে সেক্স করা বা এরকম কিছু করা আমাদের সমাজে একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়।

এরপর সামাজিকভাবে মেলামেশা, এমনকি ঘর থেকে বেরুনো বন্ধ করে দেন তিনি। শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। এতে ব্যর্থ হওয়ার পর বাবা মাকে বলতে হয় কী ঘটেছিল। তার বাবা মা দুজনেই মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন।

আয়েশা জানান, সব কিছু নিয়ে তাদের এ অবস্থায় ফেলার জন্য আমার লজ্জায় মুখ দেখানোর জায়গা ছিল না। রেডিটের সঙ্গে বেশ কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেন তিনি। একটি ঘটনায় ভিডিওটা প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই সরিয়ে ফেলা হয়। কিন্তু আরেকটি ভিডিওর ক্ষেত্রে সেটা সরাতে ৪ মাস লেগে যায়। আর সেখানেই ঘটনার শেষ নয়। যে ভিডিওটি শেষ পর্যন্ত সরানো হয়, সেটি ততক্ষণে অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার হয়ে যায়। ১ মাস পর আবার সেটি মূল সাবরেডিট সাইটে এসে হাজির হয়।

যে সাবরেডিট সাইটে আয়েশাকে হেনস্থা ও হয়রানি করা হয়, সেটি চালাতেন 'জিপ্পোম্যাড' নামে এক ব্যক্তি। গ্রুপটির মডারেটার তিনি। তাই তার সাবরেডিট আলোচনা গ্রুপ রেডিটের নিয়মকানুন মেনে চলছে কিনা সেটা দেখা তারই দায়িত্ব। কিন্তু তিনি আদৌ তা না করে উল্টোটা করেছেন।

মনিকা প্লাহা বলেন, জিপ্পোম্যাডের সাবরেডিট গ্রুপের সন্ধান পাওয়ার পর আমি দেখেছি-অভিযোগ পেয়ে রেডিট তার গ্রুপ বন্ধ করে দেয়ার পর তিনি তিনবার নতুন করে আবার খুলেছেন। নতুন ভার্সনগুলোর প্রত্যেকটিতে মূল নাম সামান্য হেরফের করে ব্যবহার করেছেন। প্রত্যেকটা গ্রুপের নামে বর্ণবাদের চিহ্ণ রয়েছে। যেসব নাম উচ্চারণ করা যাবে না। 

প্রত্যেক ভার্সনে জিপ্পোম্যাড একই ধরনের কন্টেন্ট পোস্ট করেছেন। প্রত্যেকটিতে সক্রিয় অনুসারীর সংখ্যা কয়েক হাজার। নগ্ন ছবি নিয়ে ব্যবসা ব্যাপক হয়েছে। অনলাইনে হয়রানি ও নির্যাতন বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা এর একটা নাম দিয়েছেন- কালেক্টার কালচার (সংগ্রহের সংস্কৃতি)।

ব্রিটেনে ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের অধ্যাপক ক্লেয়ার ম্যাকগ্লিন অনলাইনে এ ধরনের হয়রানি নির্যাতন বিষয়ে বিশেষজ্ঞ। তিনি বলছেন, এগুলো কোনো বিকৃত বা অদ্ভুত রুচির মানুষের কাজ নয়। এদের সংখ্যা বিশাল। হাজার হাজার মানুষ এর সঙ্গে জড়িত।

তিনি বলেন, নগ্ন শরীরের ও যৌনতার খোলামেলা যেসব ছবি নিয়ে ব্যবসা চলে, সেগুলো হয় অনলাইনে মেসেজিং অ্যাপ বা ওয়েবসাইটের ব্যক্তিগত চ্যাটরুমে। সেখানে হাজার হাজার পুরুষ এসে জড়ো হয়।

অধ্যাপক ম্যাকগ্লিন বলছেন, বহু পুরুষ এ ধরনের সম্মতিবিহীন ছবির বিশাল সংগ্রহ গড়ে তুলে এ গোষ্ঠীর মধ্যে নিজের কদর বাড়াতে চান। এ ধরনের ছবি ও ভিডিও সংগ্রহের নেশা এদের এতটাই প্রবল যে, এগুলো একেবারে বন্ধ করা কঠিন। আয়েশার ক্ষেত্রেও সেটাই দেখা গেছে। 

মনিকা প্লাহা বলেন, রেডিট থেকে ছবি সরানোর চেষ্টা করেছেন এমন সাতজন নারী আমাকে বলেছেন সংস্থাটি তাদের সাহায্য করতে আন্তরিক বলে মনে হয়নি। চারজন বলেছেন, এসব কন্টেন্ট রেডিট কখনই সরায়নি। কাউকে কন্টেন্ট তুলে নেয়ার জন্য দীর্ঘ আট মাস অপেক্ষা করতে হয়েছে। রেডিট আমাদের প্যানোরামা অনুষ্ঠানে বলেছে, গত বছর বিনা অনুমতিতে পোস্ট করা ৮৮ হাজারের ওপর সেক্সের ছবি তারা সরিয়ে নিয়েছে। বলেছে এ ধরনের বিষয়কে তারা ‘খুবই গুরুত্বের’ সঙ্গে নিয়ে থাকে।

তিনি বলেন, রেডিট বলেছে অনুমতি ছাড়া প্রকাশ করা অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি খুঁজে বের করার এবং সেগুলো সরিয়ে নেয়ার জন্য তাদের স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রপাতি আছে। একটি দল এ কাজে নিযুক্ত আছে। তারা এ ধরনের ফোরাম বন্ধ করে দেয়াসহ নিয়মিত পদক্ষেপ নিয়ে থাকে।

সংস্থার একজন মুখপাত্র বলেন, আমরা জানি, এ ধরনের কন্টেন্ট পোস্ট করা ঠেকানো, সেগুলো খুঁজে বের করা এবং পদক্ষেপ নেয়ার বিষয়গুলো; যাতে আরও আরও দ্রুত ও নির্ভুলভাবে করা যায়, তার জন্য আমাদের আরও করণীয় রয়েছে। এ লক্ষ্য অর্জনে আমরা আরও কর্মী নিয়োগ, যন্ত্র ও প্রযুক্তি উন্নত করতে এবং প্রক্রিয়া মজবুত করতে আরও অর্থ বিনিয়োগ করছি।

ব্যক্তিগত ছবি অনলাইনে ছড়িয়ে দেওয়ার এ সংস্কৃতি থেকে নারীদের সুরক্ষা দিতেও হিমশিম খাচ্ছে ব্রিটেনের আইন। কারণ, কেউ নামে-বেনামে এ অনৈতিক কাজ করে যাচ্ছে।