১৯৯২-এ দেশের প্রথম বেসরকারি পর্যায়ে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম চালু হয়। তবে এসব প্রতিষ্ঠান পরিচালনার আইন পাস হয় ২০১০ -এ। তারপরও অনৈতিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পদ ব্যবহার, গুরুত্বপূর্ণ পদে লোকবল ছাড়াই কার্যক্রম চালানো এমনকি বেশকিছু প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সনদ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠে। এসব অনিয়মের রাশ টানতে আইনে বেশকিছু পরিবর্তন আনার পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন।
খসড়া আইন অনুযায়ী:
⇒ ট্রাস্টি বোর্ডে এক তৃতীয়াংশ শিক্ষাবিদ রাখা,
⇒ বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ পদে বোর্ডের কাউকে না রাখা, বড় ক্যাম্পাসের ব্যবস্থার পাশাপাশি থাকছে,
⇒ শিক্ষার্থীদের ফি বাড়ানোর বিধি নিষেধ।
এমন নানা পরিবর্তনের কঠোর সমালোচনা করছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উদ্যোক্তারা। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির সভাপতি শেখ কবির হোসেন বলেন, সরকার আইন পরিবর্তন করুক, কিন্তু সেটা ভালোর জন্যে করুক। আর ভালোর জন্যে কিছু করতে হলে স্টেক হোল্ডারদের সাথে আলোচনার প্রয়োজন।
তবে আইনের ইতিবাচক পরিবর্তন সমর্থন রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর। কবির হোসেন বলেন, যারা আইন মানবে না তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক পাশাপাশি যারা আইন মেনে চলছে তাদের সাহায্য করা উচিত। ইউজিসি শক্তিশালী না হলে কোনকিছুই হবে না।
তাই, যেকোনো পরিবর্তন সব পক্ষের সাথে আলোচনার পরামর্শ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ মুজিবুর রহমানের। তিনি বলেন, মানুষ তার মেধা, শ্রম আর সময় দিয়ে প্রতিষ্ঠান একটি নিয়মে পরিচালনা করছে। এখন হুট করে যদি বলা হয়, আগের নিয়ম সব বাদ, নতুন নিয়মে চলবে সবকিছু তবে তো হবে না। তাই দুপক্ষের আলোচনা জরুরি।
বর্তমানে দেশে শতাধিক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এর বাইরে, অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে আরও অন্তত ২৫ টি বেসরকারি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান।