ফ্রিডম বাংলা নিউজ

বুধবার, জুন ২৬, ২০২৪ |

EN

নির্বাচন ছাড়া হুমকি ধমকিতে সরকার পতন হবে না: কৃষিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: রবিবার, আগস্ট ২১, ২০২২

নির্বাচন ছাড়া হুমকি ধমকিতে সরকার পতন হবে না: কৃষিমন্ত্রী
নির্বাচন ছাড়া হুমকি ধমকিতে সরকার পতন করা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। 

তিনি বলেন, যারা মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে; বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না; তারাই এখন বর্তমান নির্বাচিত সরকারকে হুমকি-ধমকি দিয়ে পতনের দুঃস্বপ্ন দেখছে।

শনিবার (২০ আগস্ট) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, শুধুমাত্র জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমেই সরকার পরিবর্তন সম্ভব। নির্বাচন ছাড়া কোন ধরনের হুমকি-ধমকি দিয়ে বর্তমান নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকারের পতন করা যাবে না। ২০২৩ সালে এ দেশে জাতীয় নির্বাচন হবে।

তিনি বলেন, জনগণ আমাদের ক্ষমতার উৎস। জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা আগামী দিনের সরকার গঠন করতে চাই। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল বিএনপি এ দেশের যে ক্ষতি করেছে, যে সর্বনাশ করেছে, যেভাবে তারা নিজেদের কবর নিজেরাই খুঁড়েছে, সেই কবর থেকে বিএনপি আর কোনো দিন বের হতে পারবে না।

আব্দুর রাজ্জাক বলেন, দেশের স্বাধীনতা এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে তারা যদি নিজেদের সম্পৃক্ত করতে না পারে, মানুষের কাছে যদি ক্ষমা না চায়, যারা শত শত কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে, দুর্নীতি করেছে, দেশকে ধ্বংস করেছে, বিদ্যুৎ উৎপাদন না করে দেশকে পিছিয়ে দিয়েছে, তারা এদেশের ক্ষমতায় আসতে পারবে না।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন কমিশন নির্বাচন করবে। আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে, একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সহযোগিতা করা।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা আন্দোলন এবং স্বাধীনতার পূর্ববর্তী সকল আন্দোলনের মহানায়ক এবং অবিসংবাদিত নেতা। বঙ্গবন্ধু ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ রাতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন। যা পরদিন ২৭ মার্চ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে। অথচ বিএনপি দাবি করছে, তাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন। এটি ইতিহাসের চরম মিথ্যাচার। বঙ্গবন্ধুই বাংলাদেশের স্বাধীনতা  ঘোষণা করেছেন এবং বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বেই স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জিত হয়েছে। এটি আজ সর্বজনীন সত্য ও স্বীকৃত।

সভাপতির বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত কুশীলবরা বেঁচে না থাকলেও, তাদের মরণোত্তর বিচার করা প্রয়োজন।

তিনি বলেন, মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ কৃপায় বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বেঁচে আছেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে হলে সকল ভেদাভেদ ভুলে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যেতে হবে।

অন্য বক্তারা বলেন, স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি এখনো সক্রিয়। তাদের ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে। স্বাধীনতা বিরোধীরা  আর যাতে কোন দিন বাংলার মাটিতে ক্ষমতায় আসতে না পারে সেলক্ষ্যে জনগণকে সাথে নিয়ে কাজ করে যেতে হবে। বাংলার মাটি থেকে স্বাধীনতা বিরোধীদের নিশ্চিহ্ন করে দিতে হবে। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলালের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম. ইকবাল আর্সলান। আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. জাহিদ হোসেন, উপ-উপাচার্য (একাডেমিক)  অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল্লাহ সিকদার, ডেন্টাল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আলী আসগর মোড়ল, সার্জারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন, গ্রন্থাগারিক অধ্যাপক ডা. মো. হারিসুল হক, হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ডা. এসএম মোস্তফা জামান, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের বিএসএমএমইউ শাখার সদস্য সচিব সহকারী প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ডা.  মোঃ আরিফুল ইসলাম জোয়ারদার টিটো, অতিরিক্ত পরিচালক (হাসপাতাল) ডা. পবিত্র কুমার দেবনাথ প্রমুখ।