ফ্রিডম বাংলা নিউজ

রবিবার, মার্চ ১৬, ২০২৫ | ২ চৈত্র ১৪৩১

EN

নায়ক রাজ রাজ্জাকের প্রয়াণদিবস আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: রবিবার, আগস্ট ২১, ২০২২

নায়ক রাজ রাজ্জাকের প্রয়াণদিবস আজ
২০১৭ সালের ২১ আগস্ট পৃথিবীকে চির বিদায় জানান ‘নায়ক রাজ’ খ্যাত কিংবদন্তি অভিনেতা রাজ্জাক। তাঁর মৃত্যুর রেশ এখনো কাটেনি। কখনো কাটবেও না। কারণ বাংলা চলচ্চিত্রে অসংখ্য কীর্তি গড়ে সব শ্রেণীর মানুষের মনে স্থায়ী আসন গড়ে নিয়েছেন তিনি। কোনো রকম বিতর্ক ছাড়াই এখনো ‘নায়ক রাজ’ বাংলা চলচ্চিত্রের সবচেয়ে জনপ্রিয় অভিনেতা।

নায়ক রাজের পারিবারিক নাম আব্দুর রাজ্জাক। ১৯৪২ সালের ২৩ জানুয়ারি দক্ষিণ কলকাতার নাকতলায় জন্মগ্রহণ করেন রাজ্জাক। ছোটবেলা থেকেই তিনি অভিনয়ের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। সপ্তম শ্রেণিতে পড়ার সময় কলকাতায় এক পূজার অনুষ্ঠানে সর্বপ্রথম অভিনয় করেন।

রাজ্জাকের ‘নায়ক রাজ’ হয়ে ওঠার পথ মোটেও সহজ ছিল না। প্রকৃতির নিয়ম মেনেই বহু চড়াই-উৎরাই পেরিয়েছেন তিনি। ১৯৬৪ সালে কলকাতায় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা শুরু হলে, শরণার্থী হয়ে ঢাকায় চলে আসেন। সঙ্গে নিয়ে আসেন তখনকার প্রথিতযশা পরিচালক আব্দুল জব্বার খানের ঠিকানা। ঢাকায় এসে নায়ক রাজের ঠাঁই হয় কমলাপুরের ছোট্র একটি খুপরিতে। তিনি যথারীতি আব্দুল জব্বারের সঙ্গে দেখা করেন। আব্দুল জব্বার তাঁকে অভিনয়ে নেওয়ার আশ্বাস দেন। পরবর্তীতে সুভাষ দত্ত ও এহতেশামের মতো পরিচালকদের সঙ্গে রাজ্জাকের পরিচয় হয়।

ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে রাজ্জাক তৎকালীন পাকিস্তান টেলিভিশনে ‘ঘরোয়া’ নামের ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করে দর্শকদের কাছে জনপ্রিয় হন। পরবর্তীকালে কার বউ, ডাক বাবু, আখেরী স্টেশনসহ আরও বেশকিছু ছবিতে ছোট ছোট চরিত্রে অভিনয় করে তিনি। ১৯৬৬ সালে ‘১৩ নম্বর ফেকু ওস্তাগার লেন’ চলচ্চিত্রে একটি ছোট চরিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশি চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় রাজ্জাকের।   

বাংলা চলচ্চিত্রে নায়ক হিসেবে রাজ্জাকের প্রথম চলচ্চিত্রের নাম ‘বেহুলা’। তিনি প্রায় ৩০০টি বাংলা ও উর্দু চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন এবং পরিচালনা করেছেন প্রায় ১৬টি চলচ্চিত্র। নায়ক হিসাবে ১৯৯৪ সালে ‘অন্ধ বিশ্বাস’ছবিতে শেষ অভিনয় করেন রাজ রাজ্জাক।

২০১৫ সালে বাংলাদেশ সরকার সংস্কৃতিতে বিশেষ ভূমিকা রাখার জন্য তাকে স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত করে। ১৯৭৬, ১৯৭৮, ১৯৮২, ১৯৮৪ ও ১৯৮৮ সালে তিনি মোট পাঁচবার শ্রেষ্ঠ অভিনেতার জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। ২০১৩ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে তাকে আজীবন সম্মাননা পুরস্কার প্রদান করা হয়। এ ছাড়াও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি (বাচসাস) পুরস্কারসহ দেশ-বিদেশে অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন এই কিংবদন্তি।