Can't found in the image content. যে ৪ ব্যক্তির জন্য ফেরেশতারা দোয়া করেন | ফ্রিডম বাংলা নিউজ
ফ্রিডম বাংলা নিউজ

সোমবার, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪ |

EN

যে ৪ ব্যক্তির জন্য ফেরেশতারা দোয়া করেন

বিশেষ প্রতিবেদক | আপডেট: শনিবার, আগস্ট ২০, ২০২২

যে ৪ ব্যক্তির জন্য ফেরেশতারা দোয়া করেন

ছবি: সংগৃহীত

মনের একান্ত ইচ্ছা, অভিযোগ-অনুযোগ, পরকালের কঠিন শাস্তি থেকে মুক্তি, জান্নাত লাভ-কত বিষয়ে মানুষ আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া করে থাকেন। প্রত্যাশা থাকে মহান রব যেন সব দোয়া কবুল করেন। কিন্তু দোয়া আসলে কতটা কবুল হচ্ছে এবিষয়ে সংশয় থেকেই যায়। তবে আল্লাহ তায়ালার পবিত্র ও নিষ্পাপ মাখলুক ফেরেশতারা কারো জন্য দোয়া করলে সে দোয়া কবুল হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। 

ফেরেশতারা সব সময় আল্লাহ তায়ালার হুকুম পালন ‍ও তাঁর ইবাদত, বন্দেগিতে লিপ্ত থাকেন। সৃষ্টিগতভাবে ফেরেশতাদের আল্লাহর অবাধ্যতার শক্তি দেওয়া হয়নি। সর্বদা তারা আল্লাহর হুকুম পালন করেন। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘...তারা (ফেরেশতারা) তা অমান্য করে না, যা আল্লাহ তাদের আদেশ করেন। তারা যা করতে আদিষ্ট হয়, তা-ই করে।’ (সুরা : তাহরিম, আয়াত : ৬)

উম্মতের দরদী নবীজি (স.) তাঁর প্রিয় উম্মতকে এমন কিছু আমল শিখিয়েছেন, যে আমলে মেলে ফেরেশতার দোয়া। আমলগুলো নিচে বর্ণনা করা হলো—

১) প্রথম কাতারে নামাজ পড়া ব্যক্তি।

‘একদিন রাসুলুল্লাহ (স.) (তাঁর সামনে উপস্থিত সাহাবাদের লক্ষ করে) বললেন, যারা প্রথম কাতারে নামাজ পড়ে, আল্লাহ তাআলা তাদের প্রতি রহমত বর্ষণ করেন, ফেরেশতারাও তাদের জন্য রহমতের দোয়া করেন। (তাঁর এ কথা শুনে) সাহাবিরা বললেন, যারা দ্বিতীয় কাতারে নামাজ পড়ে তাদের জন্যও (দোয়া করুন)।  

রাসুলুল্লাহ (স.) আবার বললেন, যারা প্রথম কাতারে নামাজ পড়ে আল্লাহ তাআলা তাদের প্রতি রহমত বর্ষণ করেন, ফেরেশতারাও তাদের জন্য রহমতের দোয়া করেন। তখন সাহাবিরা বললেন, যারা দ্বিতীয় কাতারে নামাজ পড়ে তাদের জন্যও (দোয়া করুন)।

রাসুলুল্লাহ (স.) আবার বললেন, যারা প্রথম কাতারে নামাজ পড়ে আল্লাহ তাআলা তাদের প্রতি রহমত বর্ষণ করেন, ফেরেশতারাও তাদের জন্য রহমতের দোয়া করেন। তখন সাহাবিরা বললেন, যারা দ্বিতীয় কাতারে নামাজ পড়ে তাদের জন্যও (দোয়া করুন)। (তাদের কথা শুনে চতুর্থবার) রাসুলুল্লাহ (স.) বললেন, এবং যারা দ্বিতীয় কাতারে নামাজ পড়ে তাদের প্রতিও (রহমত বর্ষণ করেন)’। (মুসনাদে আহমদ: ২২২৬৩; হাদিসটি সহিহ লিগাইরিহি)

২) মুসলিম ভাইয়ের জন্য যিনি দোয়া করেন।

সহিহ মুসলিমে হজরত আবু দারদা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন—

مَا مِنْ عَبْدٍ مُسْلمٍ يَدْعُو لأَخِيهِ بِظَهْرِ الغَيْبِ إِلاَّ قَالَ المَلَكُ: وَلَكَ بِمِثْل

‘যখন কোনো মুসলিম তার ভাইয়ের জন্য তার পশ্চাতে দোয়া করে, তখন তার (মাথার কাছে নিযুক্ত) একজন ফেরেশতা তাঁকে লক্ষ্য করে বলে, তোমার জন্যও এমনই হোক’। (সহিহ মুসলিম: ২৭৩২)

অন্য বর্ণনায় এসেছে, ‘কোনো মুসলিম তার ভাইয়ের অবর্তমানে তার জন্য নেক দোয়া করলে তা কবুল হয়। তার মাথার কাছে একজন ফেরেশতা নিয়োজিত থাকে, যখনই সে তার ভাইয়ের জন্য দোয়া করে, তখনই ওই ফেরেশতা বলেন, ‘আমিন! তোমার জন্যও এমনই হোক”। (সহিহ মুসলিম: ২৭৩২)

৩) অজুসহ ঘুমানো।

হজরত আব্দুল্লাহ বিন ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি রাতে পবিত্র অবস্থায় (অজু সহকারে) ঘুমায়, একজন ফেরেশতা তার গায়ের সঙ্গে লেগে থাকা কাপড়ের ভেতরে অবস্থান করে। রাতে সে যখনই জাগ্রত হয়, ওই ফেরেশতা তার জন্য দোয়া করে বলে, হে আল্লাহ, আপনি আপনার এ বান্দাকে ক্ষমা করে দিন। সে পবিত্র অবস্থায় রাত কাটাচ্ছে’। (সহিহ ইবনে হিব্বান: ১০১৫)

৪) প্রতিদিন অল্পকিছু হলেও সদকা করা।

হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (স.) ইরশাদ করেছেন, প্রতিদিন সকালে দুজন ফেরেশতা (আসমান থেকে) অবতরণ করেন। তাঁদের একজন বলেন, হে আল্লাহ, যে দান করে তাকে তার দানের উত্তম প্রতিদান দিন আর অপরজন বলেন, হে আল্লাহ, যে দান করে না, তাকে ধ্বংস করে দিন’। (সহিহ বুখারি: ১৪৪২; মুসলিম ১০১০)