উত্তাল ডলারের বাজার। খোলাবাজার থেকে ব্যাংক, সবখানেই মার্কিন মুদ্রার জন্য হাহাকার চলছেই। অবস্থার উন্নয়নে ছয় মাসে ১৬ বার টাকার অবমূল্যায়ন হয়েছে। রিজার্ভ থেকে বাজারে প্রায় চারশো কোটি ডলারও ছেড়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এই সংকটের সুযোগেই কিছু ব্যাংক করতে থাকে অতিমুনাফা। ঘটনা তদন্তে একসময় মাঠে নামে বাংলাদেশ ব্যাংক। শুরু হয় অভিযান। বেড়িয়ে আসে ডলার বিক্রিতে কারসাজির প্রমান।
বেসরকারি খাতের বাণিজ্যিক ব্যাংক- ব্যাংক এশিয়া। চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে গত বছরের তুলনায় ব্যাংকটিতে বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেন থেকে মুনাফা বেড়েছে ৭৭০ শতাংশ। পিছিয়ে নেই অন্যরাও। একই সময়ে প্রাইম ব্যাংক ৫০৪, এনসিসি ৫০০, ব্র্যাক ৪১৭ , ডাচ-বাংলা ৪০৩ , ঢাকা ব্যাংক ৩৫৩, সিটি ব্যাংক ৩৪০, মার্কেনটাইল ২৪৫, শাহজালাল ইসলামি ব্যাংক ২৩৪, ইউসিবি ২০৫, ইবিএল ১৫৯ ও ইসলামি ব্যাংকের মুনাফা বেড়েছে ১৪০ শতাংশ।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং ও ইন্সুরেন্স বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো. মাইন উদ্দিন বলেন, ব্যাংকগুলো অত্যাধিক মুনাফা অর্জন করছে। এর ফলে আমদানিকারকরা তাদের পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।
ব্যাংকগুলোর অতিমুনাফায় বাড়তি খরচ করতে হয়েছে আমদানিকারকদের যার সরাসরি প্রভাব পরেছে ভোক্তদের ওপর। ফলে ব্যাংগুলো অতিমুনাফায় ধাক্কা দিয়েছে দেশের মুল্যস্ফীতিতেও।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গাফিলতিতেই ব্যাংকগুলো এমন অস্বাভাবিক মুনাফা করার সুযোগ পেয়েছে বলে মনে করেন সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, অবস্থার উন্নতিতে আমদানি কমানোসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর নজরদারি বাড়াতে হবে।
এর আগে ডলার কারসাজির অভিযোগে ছয়টি বাণিজ্যিক ব্যাংকের ট্রেজারি প্রধানের অব্যাহতিসহ ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।