নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: সোমবার, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২১
নেত্রকোনার
দুর্গাপুর উপজেলায় জমিসংক্রান্ত বিরোধ কেন্দ্র করে প্রকাশ্যে বিবস্ত্র করে কৃষক কামাল
আকন্দকে (৫০) মারধরের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
অভিযোগ
উঠেছে, ওই কৃষককে ডেকে এনে প্রকাশ্যে মারধর করা হয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর ছোট ভাই
মো. হক মিয়া (৪৭) বাদী হয়ে রোববার দুর্গাপুর থানায় একটি অভিযোগ করেন। এ ঘটনায় একজনকে
গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
কৃষক
কামাল আকান্দ ওই উপজেলার কাকৈরগড়া ইউনিয়নের পুকুরিয়াকান্দা গ্রামে মৃত লতিফ আকন্দের
ছেলে। তিনি বর্তমানে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অর্থপেডিক্স বিভাগে চিকিৎসাধীন।
এ
ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন— একই ইউনিয়নের শুকনাকুড়ি গ্রামের মৃত
আছর আলী ফকিরের ছয় ছেলে আ. হামিদ ফকির (৬৫), আ. করিম ফকির (৬০), আ. কুদ্দুছ ফকির (৫৭),
আ. রহমান ফকির (৫৪), আ. ছোবাহান ফকির (৫০), ছিদ্দিক ফকিরসহ (৪৭) ১৫ জন।
এর
আগে গত বৃহস্পতিবার বিকালে শ্যামগঞ্জ-বিরিশিরি আঞ্চলিক মহাসড়কে শুকনাকুড়ি পেট্রলপাম্প
ও নিরিবিলি হোটেলের সামনে কামাল আকন্দকে প্রকাশ্য মারধরের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর দিন সামাজিক
যোগাযোগমাধ্যমে এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও ভাইরাল হয়।
এর
প্রতিবাদে গত শনিবার বিকালে উপজেলার ঝাঞ্জাইল বাজারে ভুক্তভোগীর গ্রামের কয়েক শতাধিক
মানুষ বিভিন্ন স্লোগান ও বিচার চেয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে।
ভুক্তভোগীর
ভাতিজা মাসুদ আকন্দ জানান, অভিযুক্তরা আমাদের জমি দখল করে রাখায় আমার চাচা মামলা করেন।
গত বৃহস্পতিবার বিকালে আমার চাচা (কামাল আকন্দ) দুর্গাপুর থেকে মোটরসাইকেলে বাড়ির উদ্দেশ্যে
রওনা দেন।
পথের
মধ্যে মঞ্জুরুল হক ফোন দিয়ে নিরিবিল হোটেলের সামনে আসতে বলেন আমার চাচাকে। সেখানে এলে
অভিযুক্তরা পূর্ব পরিকল্পনা করে হোটেলের ভেতর থেকে মারতে মারতে বাহিরে নিয়ে যান। এ
সময় প্রকাশ্য ব্যাপক মারধরে চাচা মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
কামাল
আকন্দ বর্তমানে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অর্থপেডিক্স বিভাগে ভর্তি আছেন এবং
তার কোমর থেকে নিচের অংশ অবশ হয়ে গেছে। তার অবস্থা সংকটাপন্ন বলে জানান ভুক্তভোগীর
ভাতিজা।
দুর্গাপুর
থানার ওসি মো. শাহনুর-এ আলম বলেন, সোবহান খান নামে এক আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনা তদন্তে মাঠে কাজ করছে পুলিশ। এ ঘটনায় দেওয়া অভিযোগটি
মামলা হিসেবে রেকর্ডভুক্ত করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
সুত্র:
যুগান্তর