ঘুমের কারণে হরহামেশাই ক্লাস মিস হয়ে যায় অনেকের। কিন্তু এবার ইথিওপিয়ার দুই পাইলট ঘুমিয়ে বাকি সবকিছুকে ছাড়িয়ে গেছেন। ঘুমের কারণে যথাসময়ে বিমানকে ল্যান্ড করাতে পারেননি তারা।
যাত্রীবাহী বিমান নিয়ে সুদানের খার্তুম থেকে ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবায় যাচ্ছিলেন ওই দুই পাইলট। কিন্তু দুজনেই একসঙ্গে ঘুমিয়ে পড়েন ককপিটে। ততক্ষণে বিমান পৌঁছে গেছে এয়ারপোর্টের কাছাকাছি। ঘুমন্ত পাইলটদের ঘুম না ভাঙায় রানওয়ে পার হয়ে যায় তাদের বিমান।
সোমবার (১৫ আগস্ট) এমন ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে এভিয়েশন হেরাল্ড। সৌভাগ্যক্রমে এতে কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি।
জানা যায়, ফ্লাইট ইটি৩৪৩ এয়ারপোর্টের কাছাকাছি এসেও উচ্চতা কমাতে শুরু করেনি। পাইলটেরা ঘুমিয়ে থাকার সময় বিমানের অটোপাইলট ব্যবস্থা ওই বোয়িং ৭৩৭ মডেলের বিমানটিকে ৩৭,০০০ ফুট উঁচুতে ভাসিয়ে রেখেছিল।
বিমানবন্দরে থাকা এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের (এটিসি) কর্মকর্তারা পাইলটদের জাগাতে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। বিমানটি উঁচু থেকে রানওয়ে পার হয়ে যাওয়ার পর অটোপাইলট বন্ধ হয়ে যায়, ককপিটের ভেতরে অ্যালার্ম বেজে ওঠে। সেই অ্যালার্মের শব্দেই জেগে ওঠেন পাইলট-জুটি।
এর ২৫ মিনিট পরে বিমানটিকে রানওয়েতে নামিয়ে আনান তারা। এভিয়েশন সার্ভেইলেন্স সিস্টেমে বিমানটির ফ্লাইটপাথের ছবিতে দেখা যায় আদ্দিস আবাবা বিমানবন্দরে ওপরে গণিতের 'অসীম' চিহ্নের মতো করে পাক খেয়েছে বিমানটি।
এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ অ্যালেক্স ম্যাকেরাস বিষয়টিকে 'গভীর উদ্বেগের' বলে অভিহিত করেছেন। তবে তিনি এক্ষেত্রে 'পাইলট ফ্যাটিগ'-এর দোষও খুঁজে পেয়েছেন। অস্বাভাবিক ও মাত্রাতিরিক্ত কর্মঘণ্টা, ঘুমের অসুবিধা, এবং সার্কাদিয়ান রিদম নষ্ট হয়ে যাওয়ায় বিশ্বের অনেক দেশের পাইলট এ ধরনের অবসাদে ভোগেন।
গত মে মাসে নিউ ইয়র্ক থেকে রোমগামী একটি এয়ারবাস ৩৩০ বিমানের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেছিল। তখন বিমানটি ৩৮ হাজার ফুট উঁচুতে ছিল।
সূত্র: এনডিটিভি