ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪ |

EN

রুশদি বেঁচে যাওয়ায় বিস্মিত হামলাকারী

বিশ্ব বাংলা ডেস্ক | আপডেট: বৃহস্পতিবার, আগস্ট ১৮, ২০২২

রুশদি বেঁচে যাওয়ায় বিস্মিত হামলাকারী

ছবি: সংগৃহীত

ছুরিকাঘাতে মারাত্মকভাবে আহত ব্রিটিশ ভারতীয় লেখক সালমান রুশদি প্রাণে বেঁচে গেছেন শুনে 'বিস্মিত' লেখকের ওপর হামলাকারী হাদি মাতার। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক পোস্টের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে এমনটিই জানালেন রুশদিকে হামলাকারী ২৪ বছর বয়সী সেই যুবক। 

নিউইয়র্ক পোস্টকে তিনি বলেন, "আমি যখন শুনলাম তিনি বেঁচে গেছেন, আমি অবাক হয়েছি।" 

হাদি মাতার জানান, রুশদি শাটাকোয়া ইনস্টিটিউশনে আসছেন, এই খবর পাওয়া মাত্রই তিনি সেখানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

''আমি রুশদিকে পছন্দ করি না। আমি মনে করি না যে, তিনি একজন ভাল মানুষ। তিনি ইসলামকে আক্রমণ করেছেন, তিনি বিশ্বাসে আঘাত করেছেন", যোগ করেন হাদি।

১৯৮৮ সালে রুশদির বিতর্কিত বই 'দ্য স্যাটানিক ভার্সেস' প্রকাশিত হলে ধর্মদ্রোহের অভিযোগে ইসলামপন্থীদের ব্যাপক রোষের শিকার হন তিনি; মৃত্যুর হুমকিও পেয়েছেন বহুবার। এমনকি, ওই বইয়ের কারণে ১৯৮৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি তার নামে মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেছিলেন ইরানের তৎকালীন সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ রুহুল্লা খোমেনি। তবে হামলাকারী যুবক হাদি ইরানের নেতা খোমেনি দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে এ হামলা চালিয়েছেন কিনা তা স্পষ্ট করেননি। 

এ ব্যাপারে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, "আমি আয়াতুল্লাহ খোমেনিকে সম্মান করি। আমি মনে করি তিনি একজন মহান ব্যক্তি।"

গত শুক্রবার (১২ আগস্ট) নিউইয়র্ক থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে শাটাকোয়া ইনস্টিটিউশনের মঞ্চে বক্তৃতা দেওয়ার জন্য ওঠার সময় ছুরি নিয়ে রুশদির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন হাদি মাতার। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই ১৫ থেকে ২০ বার ছুরির আঘাত করেন লেখকের ঘাড়ে, বুকে ও পেটে। সঙ্গে সঙ্গেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন লেখক। এরপর পুলিশ এসে হেলিকপ্টারযোগে রুশদিকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। এর কিছুসময় পরই গ্রেপ্তার করা হয় হাদি মাতার নামে ওই যুবককে। তবে তিনি ও তার আইনজীবী দাবি করছেন, কোনো দোষ করেননি হাদি। আপরাধীকে আপাতত পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে। 

সূত্র: নিউইয়র্ক পোস্ট