কোভিড-১৯, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং নিষেধাজ্ঞা-পাল্টা নিষেধাজ্ঞা সারা বিশ্বে সংকট সৃষ্টি করছে—জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল বাচেলেতের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ বিষয়ে একমত পোষণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বাংলাদেশ পৃথিবীর কোনো প্রান্তে কোনো যুদ্ধ চায় না।
বুধবার (১৭ আগস্ট) গণভবনে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ও চিলির সাবেক রাষ্ট্রপতি মিশেল বাচেলেত প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের শিক্ষা ও কাজের সুযোগ বাড়ানোর প্রস্তাব দেন। জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা কক্সবাজারে সম্ভব নয়। ভাসানচরে এই ধরনের পদক্ষেপ সম্ভব। সেখানে অধিকতর ভালো মৌলিক সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে সেখানে ২০ হাজারের মতো স্থানান্তর করা হয়েছে।
সাক্ষাতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, রোহিঙ্গা সংকট, জলবায়ু পরিবর্তন, নারীর ক্ষমতায়নসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী ও জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার।
কোভিড-১৯, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং নিষেধাজ্ঞা-পাল্টা নিষেধাজ্ঞা সারা বিশ্বে সংকট সৃষ্টি করছে বলে একমত পোষণ করেন প্রধানমন্ত্রী এবং মিশেল বাচেলেত। শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ পৃথিবীর কোনো প্রান্তে কোনো যুদ্ধ চায় না।
সাক্ষাতে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার প্রধানমন্ত্রীকে জানান তারা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কাজ করছে এবং কিছু পর্যবেক্ষণ দেওয়ার কথা জানান। জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সন্ত্রাসবাদ দমনের ওপর জোর দিয়ে বলেন, তার সরকার বাংলাদেশের মাটিতে কোনো ধরনের সন্ত্রাসকে প্রশ্রয় দেবে না।
চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি এবং ৬২ হাজার রিফিউজিকে ঘরে প্রত্যাবর্তন এবং ১৮০০ সশস্ত্র সন্ত্রাসীকে আত্মসমর্পণ করানোর কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
দেশে আর্থসামাজিক উন্নয়নের কথা উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা জানান, তার সরকার এখন কৃষি সেক্টর এবং অ্যাগ্রো-প্রসেসিং শিল্পের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে।
সাক্ষাৎকালে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব ড. আহমদ কায়কাউস, ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক জিন লুইস।