খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজিতা হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা রাতে হলের তালা ভেঙে বিভিন্ন সময় হল প্রোভেস্টের বাজে আচরণ, রান্নার সরঞ্জাম জব্দ করার নোটিশের প্রতিবাদে আন্দোলন করছে।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ছাত্রীরা প্রথমে হলের ভেতরের তলা ভেঙে বাইরে আসে। পরে হলের গেট খুলে প্রতিবাদ শুরু করে।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জনা যায়, হলের প্রোভোস্ট, সহকারী প্রোভেস্ট ছাত্রীদের সঙ্গে বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে ধমক দেওয়া থেকে শুরু করে সিট বাতিলের হুমকি দেন। মঙ্গলবার এক ছাত্রী পারিবারিক কারণে বটি দিয়ে গলা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে বেঁচে যান। এ ঘটনায় ছাত্রীদের রান্নার সরঞ্জাম জব্দ করার নিদের্শ দেয় হল কর্তপক্ষ। ইলেকট্রনিক ডিভাইসসহ, রাইস, কুকার, হিটার রুমে পাওয়া গেলে সিট বাতিল করার ঘোষণা দেয় কর্তৃপক্ষ।
তাদের অভিযোগ, কিছু দিন আগে ফেসবুকে কমেন্ট করাকে কেন্দ্র করে এক ছাত্রীকে ৪৫ মিনিট ধরে ধমক দেওয়া এবং শাসানো হয়। এর প্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ করে। এ ছাড়া বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে গেলে হল প্রশাসন উল্টো ধমক দেয়।
ছাত্রীরা অভিযোগ করে জানান, সহকারী প্রভোস্ট ছাত্রীদের হুমকি দিয়ে বলেন, হল তোমাদের সুযোগ, অধিকার নয়। যার সমস্যা সে হল থেকে নেমে যাও।
রাত ১১টার দিকে দিকে ছাত্রবিষয়ক পরিচালক ও সহকারী পরিচালক এসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন।
ছাত্রবিষয়ক পরিচালক অধ্যাপক মো. শরীফ হাসান লিমন বলেন, আজকে (মঙ্গলবার) যেহেতু একটি অনভিপ্রেত ঘটনা (আত্মহত্যার চেষ্টা) ঘটেছে, তার প্রেক্ষিতে হল কর্তৃপক্ষ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু তিনি হয়তো পাবলিক সেন্টিমেন্ট বুঝতে পারেননি। আশাকরি প্রভোস্ট আসলে সমস্যার সমাধান হবে।