পূর্ব আফ্রিকার সবচেয়ে ধনী দেশ কেনিয়ায় নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন উইলিয়াম রুতো। দেশটির নির্বাচন কমিশনের প্রধান সোমবার (১৫ আগস্ট) ডেপুটি প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুতোকে প্রেসিডেন্ট পদে বিজয়ী ঘোষণা করেন।
নির্বাচনী ফলাফল জানার পরপরই রুতো বলেছেন, আমরা আর পেছনে ফিরে তাকাবো না। আমরা ভবিষ্যতের দিকে তাকাবো। আমাদের সবার মাঝে ঐক্য দরকার সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য।
৫৫ বছর বয়সী রুতো কেনিয়ার পঞ্চম প্রেসিডেন্ট হওয়ার প্রচারণায় স্বল্প আয়ের মানুষদের জন্য কাজ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন।
কেনিয়াকে আফ্রিকার সবচেয়ে গতিশীল গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। গত মঙ্গলবার সেখানে প্রেসিডেন্ট, সংসদীয় এবং স্থানীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে বর্তমান প্রেসিডেন্ট উহুরু কেনিয়াটা তার দীর্ঘদিনের প্রতিদ্বন্দ্বী রাইলা ওডিঙ্গাকে সমর্থন দেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাইলা ওডিঙ্গার চেয়ে খুবই কম ব্যবধানে এগিয়ে থেকে প্রেসিডেন্ট হয়েছেন উইলিয়াম রুতো। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, উইলিয়াম রুতো পেয়েছেন ৫০ দশমিক ৪৯ শতাংশ ভোট।
দায়িত্ব নেওয়ার পর রুতোকে দেশটির অর্থনৈতিক ও সামাজিক যে সংকট তৈরি হয়েছে তা মোকাবিলা করতে হবে, যেখানে দরিদ্র কেনিয়ানরা ইতিমধ্যেই কোভিডের কারণে বিপদের মধ্যে পড়েছেন। বিশ্বব্যাপী খাদ্য ও জ্বালানি তেলের দামের প্রভাব দেশটির অর্থনীতিতেও প্রভাব ফেলেছে। ৪০ বছরের মধ্যে খরার কারণে দেশটির উত্তরাঞ্চলে ব্যাপক ফসলহানি হচ্ছে। দেশটির ৪১ লাখ মানুষ খাদ্য সহায়তার ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে।
কেনিয়া কোয়ানজা (কেনিয়া ফার্স্ট) জোটের প্রধান রুতো। কেনিয়ানরা প্রায় এক সপ্তাহ আগে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফলের জন্য অপেক্ষায় ছিলেন েগত কয়েকদিন ধরে। নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান ওয়াফুলা চেবুকাতি রুতোকে জয়ী হওয়ার ঘোষণা দেওয়ার কয়েক মিনিট আগে, তার ডেপুটি জুলিয়ানা চেরেরা একটি পৃথক স্থানে গণমাধ্যমকে জানান তিনি এবং অন্য তিন কমিশনার ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি বলেন, শেষ পর্বের অস্বচ্ছ প্রকৃতির কারণে যে ফলাফল ঘোষণা করা হবে তার দায়ভার নিতে পারছি না। নির্বাচন কমিশনে সাতজন কমিশনার রয়েছেন।
কেনিয়ায় নির্বাচন নিয়ে ব্যাপক সহিংসতার ঘটনাও ঘটে। নির্বাচনী সহিংসতায় ২০০৭ সালে এক হাজার ২০০ জন এবং ২০১৭ সালে ১০০ জন নিহত হন।
সূত্র: রয়টার্স