বিতর্কিত লেখক সালমান রুশদির ওপর হামলা চালানো ব্যক্তির নাম হাদি মাতার বলে নিশ্চিত করেছে যুক্তরাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ২৪ বছর বয়সী এই তরুণ ‘শিয়া চরমপন্থা’ এবং ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ড কর্পসের প্রতি সহানুভূতিশীল বলে সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
এদিকে হামলার ওই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ইরানের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।
গত শুক্রবার নিউইয়র্কের শিটোকোয়া ইনস্টিটিউটে এক অনুষ্ঠানমঞ্চে কথা বলার সময় সালমান রুশদিকে ছুরিকাঘাত করেন এক তরুণ। ওই ঘটনার পরপরই হেলিকপ্টারে করে সালমান রুশদিকে পেনসিলভানিয়ার এরির ইউপিএমসি হ্যামোট সার্জারি সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে।
সালমান রুশদির শারীরিক অবস্থার বিষয়ে এক বিবৃতিতে এসব তার এজেন্ট অ্যান্ড্রু ওয়াইলি জানান, ছুরিকাঘাতের কারণে সালমান রুশদির লিভার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সংবাদ মাধ্যম জানায়, হাদি মাতার নিউ জার্সির ফেয়ারভিউ থেকে গাড়ি চালিয়ে নিউ ইয়র্কের আপস্টেট চৌতাউকায় আসেন। সালমান রুশদি সেখানে হেনরি রিসকে সাক্ষাত্কার দিচ্ছিলেন। এসময় হাদি মাতা নামের ওই লেবানিজ বংশোদ্ভূত তরুণ মঞ্চে ছুটে গিয়ে হামলা চালান। পরে তাকে আটক করে পুলিশ।
আইন প্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষের মতে, সালমান রুশদির ঘাড়ে এবং পেটে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে।
ব্রিটিশ ভারতীয় ঔপন্যাসিক ও প্রাবন্ধিক রুশদির লেখা ‘স্যাটানিক ভার্সেস’ প্রকাশের পর ১৯৮৯ সালে মুসলিম বিশ্বে বিক্ষোভের ঝড় ওঠে। ধর্ম অবমাননার অভিযোগে তার মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করেন ইরানের তৎকালীন সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খোমেনি। রুশদির মাথার জন্য ২৮ লাখ ডলার পুরস্কার ঘোষণা করে ইরান। ২০১৬ সালে পুরস্কারের অংক বাড়িয়ে ৩৪ লাখ ডলার করা হয়।
হত্যার হুমকি পাওয়ার পর থেকে সালমান রুশদি যুক্তরাজ্যে ১০ বছর পুলিশের নিরাপত্তায় বসবাস করেন। ২০০০ সাল থেকে সালমান রুশদি যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করতে শুরু করেন।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া