'মেট্রোরেল, বিআরটি, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েসহ কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ চলমান। জনগণের দূর্ভোগ যেন না হয় সেটি বিবেচনায় নিয়ে উন্নয়ন কার্যক্রম চালাতে হবে। সিটি কর্পোরেশন এবং প্রকল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট প্রতিটি বিভাগের সমন্বয়ের মাধ্যমে সুষ্ঠুভাবে ব্যবস্থাপনা করতে হবে।'
'মেট্রোরেল, বিআরটি চালু হলে এর নিচের রাস্তা, ড্রেন, শাখা রোড, রাস্তার লাইট, পরিবেশ এগুলো সবই সঠিকভাবে ব্যবস্থাপনা করতে হবে। ফুটপাত যথেষ্ট প্রশস্ত হতে হবে। তা না হলে সেখানে যাত্রীরা ব্যাগ বা জিনিসপত্র নিয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে চলাচল করতে পারবেন না। ল্যান্ডিং স্টেশনে পাবলিক স্পেস খুব জরুরি। এগুলো নিশ্চিত করতে হবে।’
আজ বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) দুপুরে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান কার্যালয় নগরভবনের সম্মেলন কক্ষে (৬ষ্ঠ তলায়) ডিএনসিসি এলাকায় চলমান উন্নয়ন কার্যক্রম নিয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগের সমন্বয় সভায় মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম এসব কথা বলেন।
সভায় উপস্থিত বিভিন্ন বিভাগ ও প্রকল্পগুলোর প্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, 'ফুটপাতে মেট্রোরেল ও বিআরটি'র কোন ল্যান্ডিং স্টেশন করা যাবে না। চলাচলের জন্য ফুটপাত সম্পূর্ণভাবে উন্মুক্ত থাকবে।'
তিনি আরও বলেন, ‘চলমান প্রকল্পগুলো চালু হলে ঢাকার যোগাযোগ ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে। স্টেশন কেন্দ্রিক যে অর্থনৈতিক বলয় গড়ে উঠবে তার সঠিক পরিকল্পনা করে জনসাধারণের কাজে লাগাতে হবে। যত বেশি কানেকশন আমরা করতে পারবো ততই কিন্তু মানুষ ঢাকা শহরে কাজ সেরে আবার নিজেদের বাড়িতে চলে যাবে।'
সভায় অন্যান্যের সাথে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সেলিম রেজা, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহঃ আমিরুল ইসলাম, ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক, এবং এমআরটি লাইন ১, ৫ ও ৬, বাস রুট ট্রানজিট ও ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক, বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ, ডিটিসিএ ও ট্রাফিক বিভাগের প্রতিনিধি এবং ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।