ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শুক্রবার, জুলাই ৫, ২০২৪ |

EN

বডি শেইমিংয়ের অভিযোগে ইকোনোমিস্টের বিরুদ্ধে মামলা করছেন ইরাকি অভিনেত্রী

বিশ্ব বাংলা ডেস্ক | আপডেট: বৃহস্পতিবার, আগস্ট ১১, ২০২২

বডি শেইমিংয়ের অভিযোগে ইকোনোমিস্টের বিরুদ্ধে মামলা করছেন ইরাকি অভিনেত্রী

ছবি: সংগৃহীত

আরব পুরুষদের তুলনায় নারীরা মোটা, এমন বিষয়বস্তুর একটি নিবন্ধে নিজের ছবি ব্যবহার করায় ইরাকি অভিনেত্রী এনাস তালেব যুক্তরাজ্যের 'দ্য ইকোনমিস্ট' পত্রিকার বিরুদ্ধে মামলা ঠুকতে যাচ্ছেন।

এনাস বলেন, ছবিটি ব্যবহারের আগে তার কাছ থেকে অনুমতি নেওয়া হয়নি; এটি তার গোপনীয়তার লঙ্ঘন। এমনকি ছবিটি ফটোশপ করা হয়েছে বলেও তার দাবি। 

৪২ বছর বয়সী এনাস তালেব ইরাকের সবচেয়ে জনপ্রিয় অভিনেত্রীদের একজন। ইনস্টাগ্রামে তার অনুসারীর সংখ্যা প্রায় ৯ মিলিয়ন। অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি টক শো উপস্থাপনা করে থাকেন।

সাক্ষাতকারে এনাস জানিয়েছেন,  ইতিমধ্যে তিনি যুক্তরাজ্যে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছেন।

এদিকে মন্তব্যের জন্য দ্য ইকোনমিস্ট পত্রিকার কাছে বিবিসি আবেদন জানালেও কোন সাড়া পায়নি।  

কেন আরব বিশ্বের নারীরা পুরুষদের চেয়ে বেশি মোটা- এমন একটি শিরোনামে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমটি গত মাসের শেষদিকে তাদের নিবন্ধটি ছাপে। সেখানে ব্যবহৃত এনাসের ছবিটি নয় মাস আগে ইরাকের ব্যাবিলন ইন্টারন্যাশনাল ফেস্টিভ্যালে তোলা।

দারিদ্র্য এবং সামাজিক বিধিনিষেধ নারীদের ঘরের ভেতরে সীমাবদ্ধ করে রাখে, যা তাদের স্থূল করে তোলে- নিবন্ধটিতে এমন একটি যুক্তি উপস্থাপন করা হয়েছে।

আবার আরেক জায়গায় নারীদের ওজন বৃদ্ধির কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, অনেক পুরুষের কাছেই হয়তো স্থূল গড়নের নারীরা বেশি আকর্ষণীয়। 

এনাস তালেবের প্রসঙ্গ টেনে নিবন্ধে বলা হয়, "ইরাকিরা আদর্শ সৌন্দর্যের প্রতীক হিসেবে প্রায়ই এই স্থূল গড়নের অভিনেত্রীকে গণ্য করে থাকে।"  

এতেই ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন এনাস। নিবন্ধটিকে 'আরব নারী বিশেষ করে, ইরাকি নারীদের জন্য অপমানসূচক' হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।

সৌদি অর্থায়নে পরিচালিত জর্ডানের আল-আরাবিয়া টিভিকে অভিনেত্রী জানান, এ লেখা প্রকাশের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে বিদ্রূপাত্মক মন্তব্য সইতে হয়েছে।

আরেকটি সাময়িকীর সাথে কথা বলার সময় এনাস জানান, তিনি দেখতে যেমনই হোন না কেন, তাতেই খুশি। তিনি সুস্থও; আর এটাই তার কাছে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

সোশ্যাল মিডিয়ায় এনাস তালেবের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে বহু মানুষ নিবন্ধটির সমালোচনা করেছেন; সেখানে আরব নারীদের প্রতি বর্ণবাদী, বিদ্বেষমূলক এবং অমর্যাদাকর মনোভাব পোষণের অভিযোগ এনেছেন তারা।

সূত্র: বিবিসি