দেশের চা-শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ১২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করার দাবিতে করা আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি জানিয়েছে সামাজিক সংগঠন ‘নারীপক্ষ’। চা-শ্রমিকদের করা দাবি যুক্তিযুক্ত উল্লেখ করে দ্রুত এর বাস্তবায়ন চায় সংগঠনটি।
বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) নারীপক্ষের আন্দোলন সম্পাদক তামান্না খান পপির পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি জানায় সংগঠনটি।
বিবৃতিতে নারীপক্ষ জানায়, বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়নের ডাকে হবিগঞ্জের ২৪টি চা-বাগানসহ দেশের সব চা-বাগানের শ্রমিকরা মঙ্গলবার থেকে সকাল ৮টা-১০টা পর্যন্ত প্রতিদিন দুই ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করছেন। তাদের এ কর্মবিরতি বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চলবে। এরমধ্যে তাদের দাবি মানা না হলে শ্রমিকেরা সব বাগান বন্ধ করে রাস্তায় নেমে আরও কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে।
চা-শ্রমিকদের আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে বিবৃতিতে সংগঠনটি জানায়, বর্তমান বাজার পরিস্থিতি এবং দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক ঊর্ধ্বগতিতে চা-শ্রমিকদের মজুরি বাড়ানোর এ দাবিকে নারীপক্ষ অত্যন্ত যৌক্তিক ও ন্যায়সঙ্গত বলে মনে করছে। নারীপক্ষ তাদের আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করছে।
অনতিবিলম্বে তাদের দাবি মেনে নেওয়া ও তা দ্রুততার সঙ্গে কার্যকর করার জন্য সরকার ও চা-বাগান মালিকদের সংগঠন ‘বাংলাদেশ চা-সংসদ’সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানায় সংগঠনটি।
নারীপক্ষ আরও জানায়, ২০২১ সালে বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়ন ও বাগান মালিকদের সংগঠন ‘বাংলাদেশ চা সংসদ’ নেতাদের মধ্যে বেতন বাড়ানোর দ্বিপাক্ষিক চুক্তি হলেও দীর্ঘ ১৯ মাসেও মালিকপক্ষ প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করেনি। নিত্যপণ্যসহ সব ধরনের দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে দেশের সাধারণ মানুষের জীবন এখন ভয়াবহ রকম বিপর্যস্ত। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন চা-শ্রমিক, পোশাক শ্রমিক, শ্রমজীবী-মেহনতিসহ সীমিত আয়ের মানুষেরা। এ পরিস্থিতিতে চা-শ্রমিকদের মজুরি বাড়ানোর দাবি দ্রুততার সঙ্গে বাস্তবায়ন অপরিহার্য।