রাজধানীতে চলাচল করা বাসগুলো নির্দিষ্ট স্টপেজে থামিয়ে গোনা হয় যাত্রী। এক স্টপেজ থেকে অন্য স্টপেজে কতজন যাত্রী যাতায়াত করছেন, সেই হিসাব রাখতেই মালিকপক্ষ যাত্রী গণনায় কর্মচারী রাখেন। একজন যাত্রী বাসে ওঠার পর কয়টি স্টপেজ অতিক্রম করবেন, সেই হিসাব কষে ভাড়া নেন বাসের সুপারভাইজার। চেকিংয়ের অজুহাতে ভাড়া বেশি নেওয়ার অভিযোগও বিস্তর। এ নিয়ে যাত্রীদের সঙ্গে সুপারভাইজাদের তর্ক-বাগবিতণ্ডাও দেখা যায়।
এবার স্টপেজে স্টপেজে চেকিং বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি। এখন থেকে ঢাকা শহর ও শহরতলী রুটে চলাচল করা কোনো বাস থামিয়ে আর চেকিং করা হবে না। পাশাপাশি কোনো বাসের ওয়ে বিল থাকবে না। এক স্টপেজ থেকে অন্য স্টপেজ পর্যন্ত বন্ধ রাখা হবে বাসের দরজাও। রুট পারমিটের স্টপেজ অনুযায়ী গাড়ি থামানোর নির্দেশনাও দেওয়া হয়।
ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির এক জরুরি সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গত সোমবার (৮ আগস্ট) সংগঠনের এ সভা হয়।
এদিকে, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় বাসভাড়া বাড়িয়েছে বিআরটিএ। তবে নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি নেওয়ার অভিযোগ করছেন অনেক যাত্রী। অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধে অভিযান চালাচ্ছে বিআরটিএ। তাদের সঙ্গে থেকে অনিয়ম তদারকিতে ৯টি ভিজিলেন্স টিম গঠন করেছে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি।
বুধবার (১০ আগস্ট) থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ টিম বিআরটিএ’র ম্যাজিস্ট্রেটদের সঙ্গে থেকে সব ধরনের অনিয়ম তদারকি শুরু করেছে। অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত ভিজিলেন্স টিমের কার্যক্রম চলমান থাকবে বলেও জানিয়েছে মালিক সমিতি।
ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির দপ্তর সম্পাদক সামদানী খন্দকারের সই করা সংবাদ বিজ্ঞতিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, সোমবারের জরুরি সভায় সভাপতিত্ব করেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্যাহ।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকার ১২০টি পরিবহন কোম্পানির চেয়ারম্যান ও এমডিরা। এছাড়া সব রুট মালিক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরাও বৈঠকে অংশ নেন।
এ সভায় বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো- বিআরটিএ’র তালিকা অনুযায়ী ভাড়া নেওয়া, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় না করা, সব গাড়িতে দৃশ্যমান স্থানে ভাড়ার তালিকা টাঙিয়ে রাখা।