চলতি সপ্তাহের শেষদিকেই মূল্যস্ফীতির ডেটা প্রকাশ করছে যুক্তরাষ্ট্র। এর আগে দেশটিতে অপ্রত্যাশিতভাবে তেলের মজুত বেড়েছে। ফলে বুধবার (১০ আগস্ট) বিশ্ববাজারে জ্বালানি পণ্যটির দাম কমেছে।
পাকিস্তানের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এদিন ব্রেন্ট ক্রুড ফিউচার্সের মূল্য হ্রাস পেয়েছে ৭৪ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ। প্রতি ব্যারেল এ তেল বিক্রি হয়েছে ৯৫ দশমিক ৫৭ ডলারে।
ইউএস ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট ক্রুড ফিউচার্সের দর কমেছে ১ দশমিক ১৩ ডলার। প্রতি ব্যারেল এ তেল বিক্রি হচ্ছে ৮৯ দশমিক ৩৭ ডলারে।
সিএমসি মার্কেটের সাংহাই-ভিত্তিক বিশ্লেষক লিওন লি বলেন, তেলের মূল্য এবং এশিয়ার শেয়ারবাজারে নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা গেছে। ইউএস জুলাইয়ের মুদ্রাস্ফীতির তথ্য নিয়ে বাজারে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে। এতে তেলের দাম ঊর্ধ্বমুখী হতে পারেনি।
এদিনই ভোক্তা মূল্য সূচক (সিপিআই) প্রকাশ করবে যুক্তরাষ্ট্র। গ্যাসোলিনের ব্যাপক দরপতনের কারণে গত মাসে সিপিআই মন্থর গতিতে বাড়বে। তবে তা সত্ত্বেও সুদের হার বাড়ানো থেকে পিছপা হবে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক (ফেড) বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জ্বালানি চাহিদা ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যদ্রব্যের দাম নিয়ন্ত্রণে আবার ৭৫ বেসিস পয়েন্ট সুদহার বাড়াতে পারে তারা। এতে ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গত ৫ আগস্ট শেষ হওয়া সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে ক্রুডের মজুত বেড়েছে ২ দশমিক ২ মিলিয়ন ব্যারেল। এ দুই কারণেই মূলত আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমেছে।