ফ্রিডমবাংলানিউজ ডেস্ক | আপডেট: রবিবার, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২১
কেমব্রিজ
বিশ্ববিদ্যালয়ে (University
of Cambridge) পড়ানোর সুযোগ পেলেন বাংলাদেশের চিকিৎসক তাসনিম জারা (Tasnim Jara)। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের
ক্লিনিক্যাল সুপাইরভাইজার (আন্ডারগ্রাজুয়েট) হিসেবে যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশী
এই তরুণ চিকিৎসক। সোশ্যাল
মিডিয়ায় নিজেই জানিয়েছেন সে কথা।
মাস
কয়েক আগে তিনি কাজ
করতেন ইংল্যান্ডে। সেখানে স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তাসনিম । তাঁর কাজের
জন্য বিট্রিশ সরকার তাঁকে ‘ভ্যাক্সিন লুমিনারি’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। ঢাকা মেডিক্যাল
কলেজ থেকে MBBS করার পরে তিনি
স্নাতকোত্তর পড়েছেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে । সেখানে তাঁর
পড়ার বিষয় ছিল ‘ইভিডেন্স বেইসড
মেডিসিন’।
দিন
কয়েক আগেই তাসনিম জানান,
তিনি কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানোর সুযোগ পেয়েছেন। ফেসবুকে পোস্ট করে তিনি জানিয়েছেন,
কেমব্রিজ বিশ্ব বিদ্যালয়ের চতুর্থ, পঞ্চম ও ষষ্ঠ বর্ষের
মেডিক্যাল ছাত্রছাত্রীদের পড়ানোর দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি। তাসনিম সোশ্যাল মিডিয়ায় অত্যন্ত জনপ্রিয়। খুব সহজ ভাবে
তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিয়োর মাধ্যমে চিকিৎসা বিষয়ে বিভিন্ন পরামর্শ দেন। অনেকেই সেগুলো
দেখেন এবং নিজেদের মতামত
দেন।
তাসনিম
জানিয়েছেন যে নতুন দায়িত্ব
নেওয়ার ফলে তিনি কিছুদিন
ব্যস্ত থাকবেন। তাই ভিডিয়ো করতে
এবং তাঁকে যে প্রশ্ন করা
হয়েছে সেগুলির উত্তর দিতে তাঁর কিছুটা
সময় লাগবে।
তাসনিম
জারা তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্টে
লিখেছেন, 'এই নতুন দায়িত্বে
শুরুর দিকের ব্যস্ততা একটু বেশি। গত
দুই মাসে খুব অল্প
সংখ্যক ভিডিয়ো তৈরি করা সম্ভব
হয়েছে। আপনাদের প্রশ্নগুলোরও খুব অল্প উত্তর
দিতে পেরেছি। এই সময়ে ধৈর্য্য
ধরে সঙ্গে থাকার জন্য ধন্যবাদ। আশা
করছি আগামী মাসগুলিতে আরও বেশি ভিডিয়ো
বানাতে ও আপনাদের প্রশ্নের
উত্তর দিতে পারব।'
তাসনিম
নিজে বিভিন্ন হাসপাতালে কাজ করেছেন। সেই
সব কাজের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায়
বাংলাতেই চিকিৎসা বিষয়ক নানা ‘কন্টেন্ট’ পোস্ট করেন। সাধারণ মানুষ যাতে বুঝতে পারেন,
তাই সহজভাবে তিনি বক্তব্য রাখেন।
যা সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ 'পপুলার'।
তাঁকে
কিছু দিন আগেই, G-7 গ্লোবাল
ভ্যাকসিন কনফিডেন্স সামিটে ‘ভ্যাকসিন লুমিনারি’ স্বীকৃতি দেওয়া হয় । করোনা
পরিস্থিতিতে বিভিন্ন দেশে যারা টিকা
প্রদানের কাজ করেন, তাদের
এক মঞ্চে নিয়ে আসার জন্য
ওই সামিট করা হয়। তাসনিম
সেই সময়ে কাজ করেছিলেন
ভারত এবং বাংলাদেশে। ওপার
বাংলার একমাত্র তাঁকেই এই স্বীকৃতি দেওয়া
হয়েছে।