ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪ |

EN

ট্রাম্পের বাড়িতেে 'এফবিআই'-এর অভিযান

বিশ্ব বাংলা ডেস্ক | আপডেট: মঙ্গলবার, আগস্ট ৯, ২০২২

ট্রাম্পের বাড়িতেে 'এফবিআই'-এর অভিযান
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) ফ্লোরিডায় তার বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে। এফবিআই এজেন্টরা একটি সেফ খুলতে করতে ভাঙচুর করেছে। সোমবার এই অভিযান চালানো হয়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এখবর জানিয়েছে।

এক বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেছেন, পাম বিচের মার-এ-লাগো বাড়িটি এফবিআই-এর বড় একটি দল দখল করেছে।

বিবিসি’র খবরে বলা হয়েছে, এই অভিযান ট্রাম্পের সরকারি নথি দেখভালের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।

ট্রাম্প যখন ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন তখন মার্কিন আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর নজরদারীর নাটকীয় অগ্রগতি ঘটলো।

বিবিসি’র মার্কিন পার্টনার সিবিএস নিউজ জানিয়েছে, সোমবার অভিযানের সময় ট্রাম্প নিউ ইয়র্ক সিটিতে অবস্থান করছিলেন।

ট্রাম্পের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, জাতির জন্য এটি একটি অন্ধকার অধ্যায়।

তিনি দাবি করেছেন, সরকারের সংশ্লিষ্ট সব সংস্থা সব ধরনের সহযোগিতা করা হয়েছে। যাতে করে তার বাড়িতে অঘোষিত অভিযান প্রয়োজন না হয়।

ট্রাম্প বলেছেন, তাকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া থেকে ঠেকাতে বিচার ব্যবস্থাকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করার মতো ঘটনা।

তিনি বলেন, এমন আক্রমণ শুধু ভেঙে পড়া তৃতীয় বিশ্বের দেশে ঘটতে পারে। দুঃখের বিষয়, যুক্তরাষ্ট্র এখন তেমন একটি দেশে পরিণত হয়েছে। দুর্নীতি এমন চিত্র অতীতে দেখা যায়নি। তারা এমনকি আমার সেফ ভেঙেছে।

সাবেক প্রেসিডেন্টের ছেলে এরিক ট্রাম্প ফক্স নিউজকে বলেছেন, মার-এ-লাগোতে এফবিআই-এর অভিযান ন্যাশনাল আর্কাইভসের তথ্য পরিচালনা সংশ্লিষ্ট।

প্রেসিডেন্সিয়াল তথ্য সংরক্ষণের দায়িত্বে থাকা মার্কিন সরকারি সংস্থা ন্যাশনাল আর্কাইভস ফেব্রুয়ারিতে আইন মন্ত্রণালয়ের কাছে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে তদন্তের আহ্বান জানায়। সংস্থাটির দাবি, মার-এ-লাগো থেকে ১৫ বক্স নথি উদ্ধার করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে রাষ্ট্রীয় গোপন নথি রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী, মার্কিন প্রেসিডেন্টদের সব চিঠি, কাজ সংশ্লিষ্ট নথি ও ইমেইল ন্যাশনাল আর্কাইভের কাছে হস্তান্তর করতে হয়। কিন্তু কর্মকর্তাদের দাবি, ট্রাম্প বেআইনিভাবে অনেক নথি ছিঁড়ে ফেলেছেন। তাদেরকে কয়েকটি নথি জোড়া লাগাতে হচ্ছে।

ওই সময় ট্রাম্প ‘ফেক নিউজ’ উল্লেখ করে এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।