ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছেছে ইসরায়েল ও সশস্ত্র গোষ্ঠী ইসলামিক জিহাদ। টানা তিনদিনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর রোববার (৭ আগস্ট) গভীর রাতে উভয়পক্ষ যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেয়। তবে এর আগেই প্রাণ হারিয়েছেন ৪৪ জন ফিলিস্তিনি।
অবশ্য যুদ্ধবিরতির ঘোষণার পর গাজা সীমান্তে এক বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর সংঘর্ষের অবসানের আশা দেখা দিয়েছে। সোমবার (৮ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় সময় রোববার গভীর রাত সাড়ে ১১টায় (বাংলাদেশ সময় রাত আড়াইটায়) ইসরায়েল ও সশস্ত্র গোষ্ঠী ইসলামিক জিহাদের মধ্যে এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। প্রথমে এক বিবৃতিতে যুদ্ধবিরতির কথা ঘোষণা করে ইসলামিক জিহাদ। পরে পৃথক এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করে ইসরায়েলও। উভয়পক্ষই যুদ্ধবিরতিতে মধ্যস্থতা করার জন্য মিশরকে ধন্যবাদ জানিয়েছে।
এর আগে গত শুক্রবার থেকে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের নানা লক্ষ্যবস্তুতে হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। গাজার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, টানা তিন দিন ধরে চলা ইসরায়েলের এই হামলায় ৪৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
নিহতদের প্রায় অর্ধেকই বেসামরিক ফিলিস্তিনি এবং তাদের মধ্যে শিশুও রয়েছে। এছাড়া গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, ইসরায়েলের আগ্রাসনে তিন শতাধিক ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন।
অন্যদিকে টানা তিন দিনের এই সংঘর্ষের সময় ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী ইসলামিক জিহাদের নিক্ষেপ করা রকেটগুলো দক্ষিণ ইসরায়েলের বেশিরভাগ অংশকে হুমকির মুখে ফেলে দেয় এবং এতে করে তেল আবিব ও অ্যাশকেলনসহ দক্ষিণাঞ্চলীয় অন্য শহরগুলোর বাসিন্দারা আশ্রয়কেন্দ্রে ঢুকতে বাধ্য হয়।
এদিকে যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে মিশর সরকার মধ্যস্থতা করেছে। যুদ্ধবিরতির পর ইসলামিক জিহাদের অন্যতম শীর্ষ নেতা মুহাম্মদ আল-হিন্দ এক বিবৃতিতে জানান, মিশরের মধ্যস্থতায় ইসরায়েলের সঙ্গে কিছুক্ষণ আগে যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে পৌঁছানো হয়েছে।
তবে যুদ্ধবিরতি হলেও ইসরায়েলের যেকোনো আগ্রাসনের জবাব দেওয়ার অধিকার ফিলিস্তিনিরা রাখে বলেও জানিয়েছেন সশস্ত্র এই গোষ্ঠীটির অন্যতম শীর্ষ এই নেতা।