অনেক পুরুষই তার চেয়ে বয়সে বড় নারীর প্রেমে পড়েন ও তাকে জীবনসঙ্গী করেন। হলিউড, বলিউডসহ বিভিন্ন তারকাদের মধ্যেও এমন প্রেম ও বিয়ের চর্চা আছে।
উদাহরণস্বরূপ, বলিউড দম্পতি ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন ও অভিষেক বচ্চন থেকে শুরু করে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া ও নিক জোনাস কিংবা মালাইকা আরোরা ও অর্জুন কাপুর এরা সবাই অসম বয়সী দম্পতি।
বর্তমানে এ বিষয়টি খুবই সাধারণ। অনেক পুরুষ স্বীকার করেছেন এর পেছনের আসল কারণ কী? কেন তারা বয়সে বড় নারীর প্রতি আকৃষ্ট হন ও তাদেরকে সঙ্গী বা স্ত্রী হিসেবে পেতে চান। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক-
> বয়সে বড় নারীরা জীবন সম্পর্কে আরও বেশি পরিপক্ক ও অভিজ্ঞ হন। ফলে তারা একটি সম্পর্ক সুন্দর ও সুশৃঙ্খল করে গড়ে তোলেন।
> বেশিরভাগ বয়স্কা নারীই গসিপ করেন না। যেহেতু তারা অভিজ্ঞ সেহেতু তারা জানেন কীভাবে বিষাক্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে মোকাবিলা করতে হয়। তাই তারা হতাশা প্রকাশ করেন না।
>> বয়সের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের আত্মবিশ্বাস ও আত্মসম্মানও বাড়ে। আর এ কারণে বয়স্কা নারীর প্রতি আকর্ষণ অনুভব করে তরুণরা। এমন নারীরা সহজে কারও সঙ্গে যুক্তিতে জড়ান না। তারা জানেন কীভাবে কঠিন সময় মোকাবিলা করতে হয়।
> অনেক পুরুষই জানিয়েছেন, বয়সে বড় নারীরা শারীরিক সম্পর্কের বিষয়েও পরিপক্ক হন। অনেক অল্পবয়সী পুরুষ স্বীকার করেছেন, তাদের বয়স্ক সঙ্গীরা যৌনসঙ্গী হিসেবেও ভালো।
> নারীর পরিপক্কতার স্তর অসম সম্পর্কের মধ্যে কখনো আঁটসাঁট করে না। তারা সঙ্গীকে স্বাধীনতা দেয় ও বিশ্বাস করে।
>> বয়স্ক নারীরা মানসিকভাবে পরিণত। সম্পর্কের একটি দুর্বল মুহূর্তে, তারা অপ্রয়োজনীয় কোনো কর্মকাণ্ড করে না যাতে পুরুষরা বিরক্তবোধ করেন। বয়স্ক নারীরা তাদের আবেগ সহজেই পরিপক্কভাবে পরিচালনা করতে পারেন।
> একজন অল্পবয়সী পুরুষ বয়স্ক নারীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর মাধ্যমে প্রতিদিন নতুন কিছু শেখেন ও জ্ঞানার্জন করতে পারেন। যা সাংসারিক জীবনে ব্যাপক সুবিধা দিতে পারে।
> বয়স্ক নারীদের প্রেমে পড়ার আরও এক কারণ হলো আর্থিক নিরাপত্তা। এ বিষয়েও অনেক পরিণত থাকে বেশি বয়সী নারীরা। জীবনসঙ্গীর বিপদের সময় পাশে দাঁড়াতে এমন নারীরাই উপযুক্ত ভূমিকা রাখেন।
> উভয় অংশীদার যথেষ্ট পরিপক্ক হলে সম্পর্কে পারস্পরিক বোঝাপড়া ও একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধা বাড়ে।