প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মহিয়সী নারী বঙ্গমাতার জীবন থেকে শুধু বাংলাদেশেরই নয়, পৃথিবীর অন্যান্য দেশের নারীরাও শিক্ষা নিতে পারবে। কিভাবে একটি দেশ ও দেশের মানুষের জন্য তিনি জীবনের সবকিছু ত্যাগ করেছিলেন তা জানতে পারবে।
রোববার (৭ আগস্ট) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ‘বঙ্গমাতা এ প্যারাগন অব ওমেন্স লিডারশিপ অ্যান্ড ন্যাশন বিল্ডিং ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, আমি মনে করি, আমাদের মেয়েরা শুধু নয়, পৃথিবীর অনেক নারীই বঙ্গমাতার জীবনের দৃষ্টান্ত অনুসরণ করতে পারবে।
একইসঙ্গে সেখানে ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা সেন্টার ফর জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলপমমেন্ট স্টাডিজেরও’ উদ্বোধন করেন তিনি।
আগামী ৮ আগস্ট বঙ্গমাতার জন্মদিন। একে সামনে রেখে তার অবদান এবং জীবনদর্শন নিয়ে ঢাবির ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা সেন্টার ফর জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলপমমেন্ট স্টাডিজ’ দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলন আয়োজন করেছে।
গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ঢাবির সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, আমার বাবার পাশে থেকে মা এ সাহস দেখিয়েছেন যে, একজন মানুষ কিভাবে তার জীবনের সবকিছু ত্যাগ করেছিলেন একটি দেশের ও মানুষের জন্য।
বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, বঙ্গমাতা সংসার, রাজনীতির নিয়ে যখন যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সেটা দেশের জন্য সবসময় সঠিক ও সময়োপযোগী প্রতীয়মান হয়েছে। শেষ পর্যন্ত তিনি জীবনটাও দিয়ে গেলেন।
বঙ্গমাতার অত্যন্ত সাদাসিধে জীবনযাপনের উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, মা’র জীবনে কোনো চাওয়া-পাওয়া ছিল না। তিনি নিজের জন্য কোনো দিন কিছু চাননি। আমরা শুনিনি কোনো আবদার করেছেন। তার নিজের যেটুকু ছিল, সবই বিলিয়ে দিতেন। দল, মানুষ, গরিব আত্মীয় পরিবার-পরিজনের জন্য।
ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জমান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। উপ উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল ও উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহম্মদ সামাদ এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন।
বিশিষ্ট কথাসহিত্যিক এবং বাংলা একাডেমির সভাপতি ড. সেলিনা হোসেন অনুষ্ঠানে ‘জেন্ডার প্রেক্ষিতে বঙ্গমাতার জীবন দর্শন’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা সেন্টার ফর জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলপমমেন্ট স্টাডিজের পরিচালক অধ্যাপক ড. তানিয়া হক স্বাগত বক্তব্য রাখেন।