ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪ |

EN

জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি

বন্ধ হওয়ার আশঙ্কায় অনেক পোশাক কারখানা

ফ্রিডমবাংলানিউজ ডেস্ক | আপডেট: শনিবার, আগস্ট ৬, ২০২২

বন্ধ হওয়ার আশঙ্কায় অনেক পোশাক কারখানা

ফাইল ছবি

জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় এরই মধ্যে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে পরিবহন খাতে। তৈরি পোশাকখাতের উদ্যোক্তারা বলছেন, এর ফলে কারখানার উৎপাদন খরচ বাড়বে, সময়মতো শিপমেন্ট দিতে পারবে না অনেক কারখানা। শ্রমিকরা বেতন বাড়ানোর দাবি তুলবেন। এতে অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হবে। একই মন্তব্য পোশাকখাতের দুই সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএর নেতাদের। অর্থনীতির প্রতিটি সেক্টরেই জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির এই প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা সংশ্লিষ্টদের।

দেশের বাজারে জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়াকে অশনি সংকেত হিসেবে দেখছেন উদ্যোক্তারা। অনেক কারখানাই বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে মত তাদের। তবে সবচেয়ে বেশি আশঙ্কায় রয়েছে রপ্তানি আয়ের ৮২ শতাংশ নেতৃত্ব দেওয়া পোশাকখাত।

এ বিষয়ে বিকেএমইএর এক পরিচালক বলেন, জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় পরিবহন ভাড়া বাড়বে অধিক হারে। এতে খরচ বাড়বে অন্যান্য জিনিসের। নিত্যপণ্যের দাম হয়তো সাধারণের নাগালের বাইরে চলে যাবে। এতে শ্রমিকরা তাদের বেতন বাড়াতে দাবি-দাওয়া তুলবেন। অনেক কারখানাকে হয়তো গুটিয়ে নিতে হবে ব্যবসা থেকে।

বিজিএমইএ পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, আমরা লোডশেডিংয়ের কারণে এমনিতেই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিলাম। এরপর জ্বালানি তেলের দাম বাড়লো। আসলে জ্বালানি সমস্যা এখন বৈশ্বিক। আমাদের খরচও বেড়ে গেলো। সব মিলে আমাদের এখন সবকিছুতে অ্যাডজাস্ট করে চলতে হবে।

বিজিএমইএর সহ-সভাপতি শহিদুল্লাহ আজিম বলেন, জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়ায় অর্থনীতির সব ক্ষেত্রে এর প্রভাব পড়বে। আমদানি পণ্যের খরচ বেড়ে যাবে, আমাদের পোশাক কারখানায় খরচ বেড়ে যাবে। পরিবহন খরচ আগের চেয়ে অনেক বাড়বে। এতে পণ্য উৎপাদন কমবে। সময় মতো মালামালও ডেলিভারিও দিতে পারবে না কারখানাগুলো। এসব কারণে অনেক কারখানাই বন্ধ হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা এ পোশাক শিল্প উদ্যোক্তার।

শুক্রবার (৫ আগস্ট) রাতে সরকার জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেয়। এমন সময় দাম বাড়ানো হলো যখন বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম ৫ মাসে সর্বনিম্ন অবস্থায় রয়েছে। দেশে জ্বালানিতে ৩৪ থেকে ৪৬ টাকা বেড়ে এখন প্রতি লিটার ডিজেল ১১৪ টাকা, কেরোসিন ১১৪ টাকা, অকটেন ১৩৫ টাকা ও প্রতি লিটার পেট্রল ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আগে ভোক্তা পর্যায়ে খুচরা তেলের দাম ছিল প্রতি লিটার ডিজেল ৮০ টাকা, কেরোসিন ৮০ টাকা, অকটেন ৮৯ টাকা ও পেট্রল ৮৬ টাকা।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবর অনুসারে, গত শুক্রবার অপরিশোধিত তেলের বেঞ্চমার্ক ব্রেন্ট ক্রুডের দাম প্রতি ব্যারেলে ৮০ সেন্ট বেড়ে হয়েছে ৯৪ দশমিক ৯২ মার্কিন ডলার, যা আগের শুক্রবারের তুলনায় ১১ শতাংশ কম। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) দাম ব্যারেলপ্রতি ৪৭ সেন্ট বেড়ে হয়েছে ৮৯ দশমিক ০১ ডলার, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় আট শতাংশ কম।

এর আগে, গত বৃহস্পতিবার ব্রেন্টের দাম ২ দশমিক ৭৫ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছিল ব্যারেলপ্রতি ৯৪ দশমিক ১২ ডলার, যা ২১ ফেব্রুয়ারির পর থেকে সর্বনিম্ন। আর ডব্লিউটিআইয়ের দাম ২ দশমিক ৩ শতাংশ কমে হয়েছিল ৮৮ দশমিক ৫৪ ডলার, যা ৩ ফেব্রুয়ারির পর থেকে সর্বনিম্ন।