আন্তর্জাতিক বাজারে ক্রমশ তেলের দাম কমছে। গতকাল শুক্রবারও (৫ আগস্ট) বিশ্ববাজারে জ্বালানি পণ্যটির মূল্য হ্রাস পেয়েছে। গত ফেব্রুয়ারির পর তা প্রায় সর্বনিম্ন পর্যায়ে গিয়ে ঠেকেছে।
ব্লমবার্গ, বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডসহ ব্যবসাভিত্তিক বিশ্বের প্রভাবশালী একাধিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
ব্লমবার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত এপ্রিলের পর সাপ্তাহিক ভিত্তিতে তেলের দর সর্বোচ্চ কমেছে। বর্তমানে বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্থর অবস্থা বিরাজ করছে। ফলে শিল্প কার্যক্রম শ্লথ হয়েছে। এতে জ্বালানি পণ্যটির চাহিদা কমেছে। এতে দাম বেড়েছে।
সবমিলিয়ে বিশ্ববাজারে বিগত ৬ মাসের মধ্যে তেলের মূল্য সর্বনিম্ন স্তরের কাছাকাছি পৌঁছেছে। সদ্য সমাপ্ত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে প্রতি ব্যারেল ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) বিক্রি হয়েছে ৮৯ ডলারে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের প্রতিবেদনে বলা হয়, গতকাল আন্তর্জাতিক বাজার আদর্শ ব্রেন্ট ক্রুডের দাম কমেছে ৫০ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ। ব্যারেলপ্রতি এ তেল বিক্রি হয়েছে ৯৩ দশমিক ৬২ ডলারে।
আর ডব্লিউটিআইয়ের মূল্য হ্রাস পেয়েছে ৬৬ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ। প্রতি ব্যারেল এ তেল বিক্রি হয়েছে ৮৭ দশমিক ৮৮ ডলারে।
গত ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া। এতে জ্বালানি তেলের দাম ঊর্ধ্বমুখী হতে থাকে। এক পর্যায়ে প্রতি ব্যারেলের দাম ওঠে ১৪০ ডলারে। ফলে দেশে দেশে মূল্যস্ফীতি দেখা দেয়।
পরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকারের নানা পদক্ষেপে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমতে থাকে। এতে নিম্নমুখী হয় তেলের দামও। যে ধারা এখনও অব্যাহত আছে।