ভারতের মধ্যপ্রদেশ সরকারের এক সামান্য করণিকের বাড়ি থেকে নগদ ৮৫ লক্ষ টাকা উদ্ধার করেছে মধ্যপ্রদেশ পুলিশ।
জানা গেছে, বুধবার মধ্যপ্রদেশ সরকারের ইকনমিক অফেন্সেস উইং (ইওডব্লিউ)-এর একটি তদন্ত অভিযান করার সময় এই বিরাট অঙ্কের নগদ টাকা উদ্ধার করেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।
পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, একটি বেআইনি সম্পত্তি মামলার তদন্ত করছিল ইওডব্লিউ। বিশেষ সূত্রে খবর পেয়ে বুধবার ইওডব্লিউ আধিকারিকরা রাজ্যের চিকিৎসা শিক্ষা বিভাগের করণিক হিরো কেশওয়ানির বাড়িতে হানা দেয়। তার বাড়িতেই তল্লাশির পর উদ্ধার হয় এই নগদ ৮৫ লক্ষ টাকা। বাড়ি থেকে নগদ টাকা উদ্ধারের পরই অভিযুক্ত হিরো কেশওয়ানি অসুস্থ হয়ে পড়েন। চিকিৎসার জন্য তাঁকে তাড়াতাড়ি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শারীরিক অসুস্থতার কারণেই ইওডব্লিউ আধিকারিকরা ।
এখন পর্যন্ত কেশওয়ানিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেননি বলেও পুলিশ সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে।
পুলিশ সূত্রে আরও জানা গেছে, কেশওয়ানি যখন চাকরি পান তখন তাঁর বেতন ছিল মাত্র চার হাজার টাকা। বর্তমানে তিনি মাসে প্রায় ৫০ হাজার টাকা রোজগার করেন। নগদ এত টাকা তাঁর বাড়িতে কী ভাবে এল এই বিষয় নিয়েই উঠছল একাধিক প্রশ্ন। এই ঘটনায় আরও তদন্ত চলছে বলেও জানিয়েছেন ইওডব্লিউ আধিকারিকরা।
আগামী দিনে হিরো সুস্থ হয়ে উঠলে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। পুলিশের অনুমান এই ঘটনায় একাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তির হাত রয়েছে। বুধবার গভীর রাত পর্যন্ত অনুসন্ধান অভিযান চলেছে। বৈরাগড় এলাকায় অবস্থিত অভিযুক্তের বাড়িতে পাওয়া নগদ টাকার সঠিক মূল্য জানার জন্য একটি নোট গণনা মেশিন আনা হয়। তদন্তকারীদের অনুমান তিনি প্রায় চার কোটি টাকা সম্পত্তির মালিক।
কেশওয়ানির পরিবারের সদস্যদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেও লক্ষ লক্ষ টাকা পাওয়া গেছে। তিনি তার স্ত্রীর নামেই বেশিরভাগ সম্পত্তি কিনেছিলেন বলে দাবি তদন্তকারীদের। পাশাপাশি তদন্তকারীরা আরও জানিয়েছেন এত সম্পত্তি কেনার মত আয়ের কোনও উৎস কেশওয়ানির নেই। তদন্তকারীরা আরও জানিয়েছেন যে পরিমাণ সম্পত্তির উদ্ধার হয়েছে যা কতটা বৈধ তা নথি যাচাইয়ের পরই জানা যাবে।