Can't found in the image content.
ফ্রিডমবাংলানিউজ ডেস্ক | আপডেট: শুক্রবার, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২১
আলোচিত
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন এবং তার স্বামী
প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী
কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেলকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
বৃহস্পতিবার
(১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাসায় অভিযান চালিয়ে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। র্যাবের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা
এ তথ্য জানিয়েছেন।
ওই
কর্মকর্তা বলেন, অর্থ আত্মসাতের মামলায়
ইভ্যালির চেয়ারম্যান ও এমডিকে তাদের
বাসা থেকে গ্রেফতার করা
হয়েছে। কিছুক্ষণের মধ্যে দুজনকে বাসা থেকে বের
করে আনা হবে। এরপর
বিস্তারিত জানানো হবে সাংবাদিকদের।
এর
আগে র্যাবের লিগ্যাল
আ্যন্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন অভিযান
শুরুর বিষয়টি জানান।
বুধবার
(১৫ সেপ্টেম্বর) রাতে ইভ্যালির চেয়ারম্যান
শামীমা নাসরিন ও এমডি রাসেলের
স্ত্রী বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে
গুলশান থানায় মামলা হয়।
আরিফ
বাকের নামে ইভ্যালির একজন
গ্রাহকের করা ওই মামলার
অভিযোগে বলা হয়, ইভ্যালির
চমকপ্রদ বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট হয়ে বাদী আরিফ
বাকের ও তার বন্ধুরা
চলতি বছরের মে ও জুন
মাসে কিছু পণ্য অর্ডার
করেন। পণ্যের অর্ডার বাবদ মূল্য বিকাশ,
নগদ ও সিটি ব্যাংকের
কার্ডের মাধ্যমে সম্পূর্ণ পরিশোধ করেন তারা। পণ্যগুলো
৭ থেকে ৪৫ কার্যদিবসের
মধ্যে ডেলিভারি ও নির্দিষ্ট সময়সীমার
মধ্যে সরবরাহে ব্যর্থ হলে প্রতিষ্ঠানটি সমপরিমাণ
টাকা ফেরত দিতে অঙ্গীকারাবদ্ধ
ছিল। কিন্তু ওই সময়সীমার মধ্যে
পণ্যগুলো ডেলিভারি না পাওয়ায় বহুবার
ইভ্যালির কাস্টমার কেয়ার প্রতিনিধিকে ফোন করা হয়।
সর্বশেষ গত ৫ সেপ্টেম্বর
যোগাযোগ করে অর্ডার করা
পণ্যগুলো পাওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন
বাদী ও তার বন্ধুরা।
এক
পর্যায়ে পণ্য প্রদান ও
টাকা প্রদানে ব্যর্থ হওয়ার পর ৯ সেপ্টেম্বর
ইভ্যালির ধানমন্ডির অফিসে যান বাদী। ইভ্যালির
এমডি মোহাম্মদ রাসেলের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে
সেখানকার কর্মীরা উত্তেজিত হয়ে চিৎকার-চেঁচামেচি
করেন। একপর্যায়ে অফিসের অভ্যন্তরে থাকা ইভ্যালির এমডি
রাসেল উত্তেজিত হয়ে তার রুম
থেকে বেরিয়ে এসে বাদীকে ভয়ভীতি
প্রদর্শন করেন এবং তাদের
অর্ডারের পণ্য অথবা টাকা
দিতে অস্বীকৃতি জানান। তাকে ভয়ভীতি ও
হুমকিসহ দুর্ব্যবহার করেন, ফলে তিনি চরম
আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে দিনযাপন করছেন
এবং পণ্যগুলো বুঝে না পাওয়ায়
আর্থিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত
হয়েছেন।
নানা
অনিয়মের অভিযোগে দীর্ঘদিন ধরে আলোচনায় রয়েছে
ইভ্যালি। এর মধ্যে গত
২৫ আগস্ট ইভ্যালির এমডি ও চেয়ারম্যানের
সব ব্যাংক অ্যাকাউন্টের হিসাব চায় বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল
ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। এরপর গত
১৪ সেপ্টেম্বর সচিবালয়ে এক সভায় ইভ্যালির
বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাধ্যমে ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করে
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এ সংক্রান্ত কমিটি।