শুধু যে বয়স্ক ব্যক্তিদের হার্ট অ্যাটাক হচ্ছে তা কিন্তু নয়, বর্তমান সময়ে এ তালিকায় নাম যোগ হচ্ছে অল্প বয়স্কদেরও। তবে পুরুষদের ক্ষেত্রে তুলনামূলক বেশি ঘটছে হার্ট অ্যাটাকের ঘটনা।
হার্ট অ্যাটাকের পেছনে অনেকগুলো কারণ থাকতে পারে। সম্প্রতি এক গবেষণা জানিয়েছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
ওই গবেষণা বলছে, সুন্দরী নারীরা হতে পারে পুরুষের হার্ট অ্যাটাকের কারণ। অবাক করা হলেও গবেষণার ফল কিন্তু এটিই জানাচ্ছে।
স্পেনের একদল গবেষক দাবি করেছেন, সুন্দরী নারীদের দেখলে পুরুষের হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়। আর সেখান থেকেই বাড়তে পারে হৃদরোগের ঝুঁকি। তাই এ বিষয়ে সংযত হতে পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকরা।
ডব্লিউবিএমডির একটি প্রতিবেদনে এটি প্রথম জানানো হয়।
উল্লেখিত গবেষণা প্রতিবেদনে স্পেনের ভ্যালেন্সিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক বলেছেন, সুন্দরী মেয়েরা এগিয়ে এলে পুরুষের মানসিক চাপ বাড়তে থাকে। এ মানসিক চাপ বাড়ার প্রবণতা বেশি হয় অপরিচত সুন্দরী মেয়েরা সামনে এলে। কখনো কখনো পুরুষের মানসিক চাপ এতটাই মারাত্মক হতে পারে যে তা হার্ট অ্যাটাক পর্যন্ত ঘটাতে পারে!
স্পেনের ওই গবেষকদের দাবি, সুন্দরী দেখলেই বেশিরভাগ পুরুষের যেভাবে বুক ধড়ফড় করা বেড়ে যায়, তাতে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যায় অনেকটাই। গবেষণার সময়কাল ছিল দীর্ঘ নয় বছর। এরপরই স্পেনের গবেষকরা এই অভিনব সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন।
ভ্যালেন্সিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা দাবি করেছেন, তারা ৮৪ জন স্বেচ্ছাসেবক পুরুষের ওপর গবেষণা চালানোর পরে দেখেছেন যে সুন্দরী মেয়েদের কাছে আসার পাঁচ মিনিটের মধ্যে পুরুষের হৃদস্পন্দন উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়। গবেষণায় বলা হচ্ছে এই পাঁচ মিনিটের মধ্যে ছেলেদের শরীরে ‘করটিসল’ নামক বিশেষ হরমোনের ক্ষরণ অনেক বেড়ে যায়। এই ‘কর্টিসল’ হরমোনের অত্যধিক নিঃসরণ হৃদযন্ত্রের ক্ষতির ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় অনেকাংশে। সেইসঙ্গে বাড়ে ডায়াবেটিস ও বিভিন্ন স্নায়বিক সমস্যা।
তাই সুন্দরী দেখলে পুরুষের জন্য সংযম করা জরুরি বলে মনে করছেন গবেষকরা।