ইসির অধীনে সংবিধান অনুযায়ী এই নির্বাচন হবে এবং সরকার তাতে সহযোগিতা করবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। এদিকে ইসিকে শক্তিশালী করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
রোববার (৩১ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে বিকেল ৩টায় এ সংলাপ শুরু হয়। এতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার, অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার ছাড়াও নির্বাচন কমিশন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষ আচরণ, ছবিযুক্ত নির্ভুল ভোটার তালিকা, ইভিএমের মাধ্যমে ভোট করার পরামর্শ দেয় আওয়ামী লীগ।
তিনশ আসনেই ইভিএমে ভোট চায় আওয়ামী লীগ, চায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী, পর্যবেক্ষক, মিডিয়ার নিরপেক্ষ ভূমিকা।
নির্বাচন ও নির্বাচন কমিশনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে বিএনপি ইভিএমের বিপক্ষে কথা বলছে বলেও মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশের নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের (ইসির) ধারাবাহিক সংলাপের শেষ দিন সংলাপে বসে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ।
সংলাপে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে দলটির অন্য নেতাদের মধ্যে উপস্থিত রয়েছেন, উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য আমির হোসেন আমু, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, কাজী জাফর উল্লাহ, ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান, উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপপু, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া এবং শিক্ষা ও মানবসম্পদবিষয়ক সম্পাদক বেগম শামসুন নাহার।
গত ১৭ জুলাই শুরু হওয়া ইসির এ ধারবাহিক সংলাপ শেষ দিন আজ। নিবন্ধিত ৩৯টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপের কথা থাকলেও এতে বিএনপিসহ একাধিক দল অংশ নেয়নি। একাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগেও দেশের নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করেছিল তৎকালীন কে এম নূরুল হুদা কমিশন।