ফ্রিডম বাংলা নিউজ

মঙ্গলবার, নভেম্বর ৫, ২০২৪ |

EN

‘আমাকে রাতের ঘুম নষ্ট করতে হচ্ছে কেন?’

ফ্রিডমবাংলানিউজ ডেস্ক | আপডেট: রবিবার, জুলাই ৩১, ২০২২

‘আমাকে রাতের ঘুম নষ্ট করতে হচ্ছে কেন?’
দলগুলোর উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ‌‘আমাকে আজকে এতো বড় চ্যালেঞ্জ, এতো চিন্তা করতে হচ্ছে কেন? রাতের ঘুম নষ্ট করতে হচ্ছে কেন?’ 

আজ রবিবার নির্বাচন ভবনে জাতীয় পার্টির (জাপা) সঙ্গে সংলাপে বসে এই প্রশ্ন ছুড়ে দেন তিনি। বৈঠকে জাপা মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নুর নেতৃত্বে ১৪ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নেন।

দলের পক্ষ থেকে সাত দিনে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি তোলেন চুন্নু। তাছাড়া প্রাপ্ত ভোটের হারের ভিত্তিতে সংসদের আসন বণ্টন (প্রোপরশনাল ইলেকশন) ও ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার না করার প্রস্তাবও তোলা হয়।  

সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘একাধিক দিনে ভোটগ্রহণের জন্য আরও কতগুলো দলের কাছ থেকে প্রস্তাবনা পেয়েছি। যেহেতু প্রায় ১২ কোটি ভোটার বা ৪০ হাজার ভোটকেন্দ্র হবে। আমাদের যে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর শক্তি, তা সংখ্যানুপাতিক দিক থেকে কম। এদিকে থেকে যেটা আপনারা বলছেন, এক্ষেত্রে ফলাফল প্রকাশ পেয়ে গেলে পরবর্তী দিনের জন্য সমস্যা হবে না?’

সিইসির এমন মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ফলাফল একদিনে প্রকাশ হবে বলে প্রস্তাব রাখেন চুন্নু। তিনি বলেন, ‘সাত দিনে নির্বাচন। এরপর ভোট আর্মির কাছে জমা থাকবে এবং সব কেন্দ্রে সিসি টিভি ক্যামেরা থাকবে, এই জিনিসগুলো করতে পারেন। একাধিক দিনে হলে ভোট গণনা হবে সবার পরে, একদিনে।’  

এরপর কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘কাউকে না কাউকে নেতৃত্বে সুলভ ভূমিকা নিয়ে সিস্টেম পরিবর্তন করতে হবে। বর্তমান যে সিস্টেম এতে আমি যতই দক্ষতা দেখাই না কেন, পরিপূর্ণ সবার কাছেই একেবারে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন ওঠে আসা খুব কঠিন।’

তিনি বলেন, ‘আমাকে আজকে এতো বড় চ্যালেঞ্জ, এতো চিন্তা করতে হচ্ছে কেন? রাতের ঘুম নষ্ট করতে হচ্ছে কেন? একটা সিস্টেম প্রবর্তন করতে পারলে প্রোপরশনাল রিপ্রেজেন্টেটিভ যে সিস্টেমটা, আমি কিন্তু পুরোপুরি এখনো জানি না, এটা কী আমাদের দেশের জন্য উপযুক্ত নয়? অথবা আমাদের যে পলিটিক্যাল সেন্টিমেন্টের সঙ্গে কী এটা যায় না বা খাপ খায় না?’ 

তিনি বলেন, এই জন্য আপনারা গবেষণা করতে পারেন। ওয়ার্কশপ করতে পারেন। এটা আমি মনে করি আপনারা একটা সুন্দর সিস্টেম চাচ্ছেন। অর্থাৎ আপনারা ভোট কারচুপি করতে চাচ্ছেন না। আমি দরিদ্র মানুষ। সেমিনার করার পয়সা আমার (ইসির) নাই। কিন্তু আপনাদের আছে আমি জানি। আপনারা পলিটিক্যাল সায়েন্সের প্রফেসরদের বলেন, পলিটিক্যাল কলিগদের বলেন যে আপনারা আসেন, শুনেন আমাদের। তাহলে হবে কী, একটা সহমত গড়ে ওঠবে, একটা ঐকমত্য গড়ে ওঠবে। তখন আমাদের আপনাদের সঙ্গে এতো বসতে হবে না।’