নিজস্ব প্ল্যাটফরমে ভুয়া তথ্যের প্রচার পর্যবেক্ষণ করতে বিভিন্ন পোস্ট এবং লিঙ্কে ব্যবহারকারীদের প্রতিক্রিয়া সম্পর্কিত তথ্য গবেষকদের দেবে বলে জানিয়েছিল ফেসবুক। গত দুই বছরে একাধিক গবেষণায় ব্যবহৃত হয়েছে ওই ডেটা। কিন্তু জানা গেছে, গবেষকদের ত্রুটিপূর্ণ ডেটা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি; অর্থাৎ ভুল প্রমাণিত হতে পারে সময় ও অর্থ খরচ করে পরিচালিত গবেষণার ফলাফল।
ফেসবুকের অভ্যন্তরীণ ইমেইল আর গবেষকদের সাক্ষাৎকার থেকে উঠে এসেছে ত্রুটিপূর্ণ ও অসম্পূর্ণ ডেটা সরবরাহের বিষয়টি। গবেষকদের কেবল যুক্তরাষ্ট্রের অর্ধেক ফেসবুক ব্যবহারকারীদের তথ্য দিয়েছে ফেসবুক-রাজনৈতিক পেজগুলো থেকে যেসব ব্যবহারকারীদের রাজনৈতিক ভাবধারা নিয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে, কেবল তাদের ডেটাই গবেষকদের দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের বাইরের ব্যবহারকারীদের ডেটার ক্ষেত্রে এমন কোনো অসঙ্গতি ছিল না বলে জানিয়েছে নিউইয়র্ক টাইমস। পুরো ডেটাসেটই হাতে পেয়েছেন গবেষকরা। এতে ফেসবুকের ওপর গবেষকদের বিশ্বাস খর্ব হলো বলে মন্তব্য করেছেন নিউ জার্সি ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি’র সহাকারী অধ্যাপক এবং সামাজিক মাধ্যম গবেষক কোডি বান্টেইন। সোশ্যাল সায়েন্স ওয়ান নামের একটি গবেষক দলের সদস্য ছিলেন তিনি। গবেষকদের ওই দলটিকেও ব্যবহারকারীদের কর্মকাণ্ড বিষয়ক ডেটা দিয়েছে ফেসবুক। ‘শুরু থেকেই ফেসবুক আদৌ সোশ্যাল সায়েন্স ওয়ানের গবেষকদের সঠিক ডেটা দেবে কি না, সে বিষয়ে সংশয়ের কথা জানিয়েছিলেন অনেকেই। এখন আমরা নিশ্চিত যে ফেসবুককে বিশ্বাস করা ঠিক হয়নি এবং ডেটার নির্ভরযোগ্যতা নিশ্চিত করতে আরও বেশি চেষ্টার দাবি তোলা উচিত ছিল আমাদের’-বলেন বান্টেইন। সম্প্র্রতি এ বিষয়ে গবেষকদের কাছে ক্ষমা চেয়ে ইমেইল পাঠিয়েছে ফেসবুক।