Can't found in the image content. বিএনপি’র মিছিল থেকে পেট্রোল বোমা মারার শঙ্কায় জনগণ : তথ্যমন্ত্রী | ফ্রিডম বাংলা নিউজ
ফ্রিডম বাংলা নিউজ

রবিবার, ডিসেম্বর ২২, ২০২৪ |

EN

বিএনপি’র মিছিল থেকে পেট্রোল বোমা মারার শঙ্কায় জনগণ : তথ্যমন্ত্রী

বাসস | আপডেট: শনিবার, জুলাই ৩০, ২০২২

বিএনপি’র মিছিল থেকে পেট্রোল বোমা মারার শঙ্কায় জনগণ : তথ্যমন্ত্রী

সংগৃহীত ছবি

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির মিছিলের হারিকেন থেকে পেট্রোল বোমা বের হয় কিনা, তা নিয়ে জনগণ শঙ্কিত।

তিনি বলেন, ‘করোনার পর ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে এখন ইউরোপ-আমেরিকাতেও বিদ্যুৎ রেশনিং হচ্ছে এবং যে বিএনপি বিদ্যুৎ দাবি করায় গুলি করে মানুষ হত্যা করেছিল, সেই বিএনপির ডাকা মিছিলের হারিকেন থেকে পেট্রোল বোমা বের হয় কিনা তা নিয়ে এখন জনগণ শঙ্কিত।’

শুক্রবার বিকেলে ঢাকায় বাংলা একাডেমিতে 'স্বনন' আয়োজিত আবৃত্তি অনুষ্ঠানের শুরুতে সাংবাদিকরা রাজনীতি প্রসঙ্গে লোডশেডিংয়ের সময় হারিকেন নিয়ে বিএনপি’র মিছিল ডাকার বিষয়ে প্রশ্ন করলে মন্ত্রী একথা বলেন।

আন্তর্জাতিক বাজারে গ্যাসের মূল্য দশগুণ বেড়েছে ও তেলের মূল্য রেকর্ড ছাড়িয়েছে ফলে বিশ্বের উন্নত রাষ্ট্রগুলোও বিদ্যুৎ উৎপাদনে হিমশিম খাচ্ছে উল্লেখ করে মন্ত্রী এ সময় বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে উন্নত দেশগুলোতে নেয়া ব্যবস্থার খতিয়ান তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, জ্বালানি সঙ্কটের কারণে খোদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে জনগণকে বিদ্যুৎ সাশ্রয় করার আহ্বান জানানো হয়েছে। বিদ্যুৎ সঙ্কটের আশঙ্কায় জাপানে এবং ফ্রান্সেও জনগণের প্রতি একই আহ্বান জানানো হয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জার্মানিতে কখনো বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়নি। সেখানেও এর সাশ্রয়ের জন্য বলা হয়েছে এবং অনেক শহরে পানি গরম করার বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করা হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস ও সিডনিতে দুই ঘণ্টা করে লোডশেডিং করা হচ্ছে। আর ছয় বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিদ্যুৎ সঙ্কটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে ভারত।

মন্ত্রী বলেন, দেশে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় আসে, তখন বিদ্যুৎ পেত মাত্র ৪০ শতাংশ মানুষ আর এখন শতভাগ মানুষ বিদ্যুতের আওতায় এসেছে এবং গত অর্থ বছরে সরকার বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ৫৩ হাজার কোটি টাকা বা ৬ মিলিয়ন ডলার ভর্তুকি দিয়েছে।

বিশেষ অতিথি ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার আয়োজকদের প্রশংসা করেন এবং এ ধরনের উদ্যোগ বৃদ্ধির আহ্বান জানান। ডা. চক্রেশ চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন আবৃত্তিশিল্পী জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়। বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
সূত্র : বাসস