সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি বলেছেন, ষড়ঋতু ও ঋতু বৈচিত্র্যের এ বাংলাদেশে বসন্তকে ঋতুরাজ বলা হলেও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য বর্ষাই হলো বাংলার প্রিয় ঋতু। বর্ষা আমারও প্রিয় ঋতু। বর্ষা ঋতুর আলাদা মাদকতা রয়েছে। প্রবল খরায় তেতিয়ে থাকা মন যেন বৃষ্টির অপেক্ষায় প্রহর গোণে। বর্ষা এলে প্রকৃতি নতুন সাজে। তৃষিত হৃদয়ে, পুষ্পে-বৃক্ষে, পত্র-পল্লবে নতুন প্রাণের সঞ্চার করে।
প্রতিমন্ত্রী আজ সন্ধ্যায় রাজধানীর বেইলি রোডস্থ বাংলাদেশ মহিলা সমিতির ড. নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে সাংস্কৃতিক সংগঠন 'স্বপ্নবিকাশ কলাকেন্দ্র' আয়োজিত 'নান্দনিকতায় বর্ষা' শীর্ষক "বর্ষা উৎসব-২০২২" অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বর্ষাও এখন নিয়ন্ত্রিত হয়ে গেছে। যে কারণে এ শ্রাবণ মাসেও অঝোর ধারায় বৃষ্টি হতে দেখা যায় না। সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলার প্রকৃতিতে বর্ষার যেমন বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে, তেমনি বর্ষার সুর ও ছন্দের মাঝে রয়েছে মানুষের মন-প্রাণ আনন্দিত করে তোলার দারুণ ক্ষমতা। তিনি বলেন, গ্রামে না গেলে বর্ষার প্রকৃত রূপ বোঝা যায় না। টিনের চালে বৃষ্টির ঝংকার শব্দ মনের মাঝে আলোড়ন সৃষ্টি করে। যদিও গ্রাম-গঞ্জে টিনের ঘর এখন কম চোখে পড়ে। কে এম খালিদ বলেন, বৃষ্টির দিনে ধুম পড়ে খিচুড়ি আর ইলিশ মাছ ভাজা বা ভুনা মাংস রান্না করার যা শহরে-গ্রামে সর্বত্রই চোখে পড়ে। তাছাড়া শহরে ইদানীং আষাঢ়ের প্রথম দিনে কদম ফুল বিক্রি হতেও দেখা যায়। মোদ্দাকথা, অর্থনৈতিক জীবনে স্বাচ্ছন্দ্য বিস্তারের পাশাপাশি বর্ষা বাঙালির সাংস্কৃতিক জীবনেও ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে।
স্বপ্নবিকাশ কলাকেন্দ্রের অধ্যক্ষ মৈত্রী সরকার এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ ও বাংলাদেশ নৃত্য শিল্পী সংস্থার সাধারণ সম্পাদক এস কে মাহফুজুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্বপ্নবিকাশ কলাকেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক অমিত সরকার।
প্রতিমন্ত্রী পরে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে একাডেমি আয়োজিত '২৩তম নবীন শিল্পী চারুকলা প্রদর্শনী ২০২২' এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন। প্রধান অতিথি হিসেবে প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম. এ. মান্নান এমপি।