Can't found in the image content. ডলারের পতন প্রক্রিয়া ঠেকিয়ে রাখার আর কোনও উপায় নেই: রুশ স্পিকার | ফ্রিডম বাংলা নিউজ
ফ্রিডম বাংলা নিউজ

সোমবার, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪ |

EN

ডলারের পতন প্রক্রিয়া ঠেকিয়ে রাখার আর কোনও উপায় নেই: রুশ স্পিকার

বিশ্ব বাংলা ডেস্ক | আপডেট: বুধবার, জুলাই ২৭, ২০২২

ডলারের পতন প্রক্রিয়া ঠেকিয়ে রাখার আর কোনও উপায় নেই: রুশ স্পিকার
বিশ্ববাজারে ডলারের যে পতন প্রকিয়া শুরু হয়েছে তা ঠেকিয়ে রাখার আর কোনও উপায় নেই বলে মন্তব্য করেছেন রুশ সংসদের নিম্নকক্ষ দুমার স্পিকার ভোজিস্লাভ ভোলোদিন।

মঙ্গলবার নিজের টেলিগ্রাম চ্যানেলে  তিনি বলেন,  বিশ্ববাজার থেকে ডলারকে বাদ দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই প্রক্রিয়া বন্ধ করার আর কোনও উপায় নেই।

তিনি রাশিয়ার পক্ষ থেকে ডলারে লেনদেন বন্ধ করার কারণ উল্লেখ করে বলেন, যে পরিমাণ ডলার ছাপিয়ে বিশ্ববাজারে ছেড়ে দেওয়া হয় তার বিপরীতে তেমন কোনও সম্পদ থাকে না।

মার্কিন সরকার বিশ্বব্যাপী তার সাম্রাজ্যবাদী লক্ষ্য চরিতার্থ করার জন্য ওয়াশিংটনের ‘অবাধ্য’ দেশগুলোর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এছাড়া বিভিন্ন দেশকে বাগে আনতে আমেরিকার প্রধান হাতিয়ার থাকে ডলার। এসব দেশে ডলারের দাম বাড়িয়ে দিয়ে সেসব দেশের সরকারগুলোকে আমেরিকার কথামতো চলতে বাধ্য করা হয়।

এ সম্পর্কে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ২০২১ সালে এক বক্তব্যে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছিলেন, মার্কিন সরকার তার মুদ্রা ডলারকে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করার কারণে আন্তর্জাতিক রিজার্ভ হিসেবে এই মুদ্রা তার গ্রহণযোগ্যতা হারাবে। এরপর প্রেসিডেন্ট পুতিন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে রাশিয়ার অর্থনৈতিক লেনদেনে ডলারকে বাদ দিয়ে দ্বিপক্ষীয় মুদ্রা চালু করার প্রক্রিয়া শুরু করেন।

দুমার স্পিকার ভোজিস্লাভ ভোলোদিন আরও বলেন, আমেরিকার ডলার ছাপানোর কারখানাগুলো এখন আর কোনও চুক্তি বা প্রতিশ্রুতি মেনে চলে না; আর এ কারণেই আমেরিকা বড় ধরনের বৈদেশিক ঋণে জড়িয়ে পড়েছে এবং দেশটিতে নজিরবিহীন মন্দা দেখা দিয়েছে।

দুমার স্পিকার বলেন, অবৈধ নিষেধাজ্ঞা, লেনদেনে ডলার পরিশোধে সীমাবদ্ধতা আরোপ এবং কোনও কোনও দেশের বৈদেশিক রিজার্ভ আটকে দেওয়ার মতো ঘটনায় অন্যান্য দেশ এখন আর এ ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পারছে না যে, তাদের সঙ্গেও আমেরিকা একই আচরণ করবে না।

তিনি ডলার দুর্বল হওয়ার আরেকটি কারণ উল্লেখ করে বলেন, আমেরিকার নেতৃত্বে এক মেরুকেন্দ্রিক যে বিশ্বব্যবস্থা ছিল তা ভেঙে পড়তে যাচ্ছে। এখন বহুমেরুকেন্দ্রিক বিশ্বের যুগ শুরু হচ্ছে। এ কারণে ডলার তার গ্রহণযোগ্যতা হারাচ্ছে। 

ভোলোদিন আরও বলেন, যেকোনও বৈদেশিক মুদ্রা সর্বোচ্চ ১০০ বছর বিশ্বের ওপর রাজত্ব করে। ডলার সেই সময়টা পার করে ফেলেছে। সূত্র: তাস