ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪ |

EN

রেলের কালো বিড়াল গেলেও দুর্নীতি শেষ হয়নি: নুর

ফ্রিডমবাংলানিউজ ডেস্ক | আপডেট: মঙ্গলবার, জুলাই ২৬, ২০২২

রেলের কালো বিড়াল গেলেও দুর্নীতি শেষ হয়নি: নুর

গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর বলেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী রেলের অব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রতিবাদ করছে দীর্ঘদিন ধরে। সে কারণে সবার কাছে রেলের কালো বিড়াল নিয়ে সবাই সরব। রেলের কালো বিড়াল চলে গেছে। কিন্তু দুর্নীতি শেষ হয়ে যায়নি। একজনের পর আরেকজন আসছে। 


মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে লুটপাট, রেলের দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।


বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদ এই কর্মসূচির আয়োজন করে।


ঢাকসুর সাবেক এই ভিপি বলেন, রেলের অব্যবস্থাপনা নিয়ে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ দেশের বিভিন্ন রেলস্টেশনে দাঁড়াচ্ছে। এই সরকার উন্নয়নের যে মিথ্যা বুলি আমাদের দেখাচ্ছে সেটা এখন সবার সামনে দৃশ্যমান।


নুর বলেন, সরকার দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছে, বাংলাদেশের বিদ্যুৎ তারা রপ্তানি করবে। দেশের সক্ষমতার চেয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন বেশি হচ্ছে। তাহলে তো আমাদের বিদ্যুৎ সংকট হওয়ার কথা না, তারপরেও হচ্ছে। কারণ এটা একটা ভাওতাবাজির হিসাব।


উন্নয়নের নামে নেতাকর্মীদের মধ্যে ভাগ বাটোয়ারার রাস্তা খুলে দিয়েছে সরকার মন্তব্য করে নূর বলেন, গত ২০-২১ সালে পিডিবির হিসাব মতে, তাদের লাভ ১৩ হাজার ১৬৫ কোটি টাকা।


কিন্তু তাদের ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে হচ্ছে ১১ হাজার কোটি টাকা। এই লাভ লোকশান হচ্ছে ক্যাপাসিটি চার্জের কারণে। এই গোঁজামিল উন্নয়নের হিসাব জনগণের সামনে এখন উন্মোচিত হয়েছে। শুধু রাজনীতিবিদরাই নয় সিপিডির মতো সংগঠনরাও বলছে দেশের অর্থনীতি এখন খাদের কিনারায়।  সরকার জনগণের হাতে উন্নয়নের মুলা ঝুলিয়ে দিয়েছে।


নুর বলেন, বিদ্যুৎ খাতে কুইক রেন্টালের নামে যে কুইক দুর্নীতি হচ্ছে সেটার কারণে প্রতিবছর হাজার হাজার কোটি টাকার ক্যাপাসিটি চার্জ দেয়া হচ্ছে। এই চার্জ পাচ্ছে সরকারি দলের মাফিয়ারা, যারা আগামী নির্বাচনে তাদের কালো টাকার প্রভাব দেখিয়ে নির্বাচনকে প্রভাবিত করবে। 


বিরোধী দলের নেতাকর্মীদেরকে তিনি বলেন, এই সরকার পৈচাশিক  প্লান নিয়ে আগাচ্ছে। বিরোধীদলের কিছু নেতাকর্মীদের লিস্ট করা হয়েছে। তাদেরকে গুম করা হবে, তাদেরকে হত্যা করা হবে। তারপরে আবারও একটা ভীতসন্ত্রস্ত একটা পরিস্থিতি তৈরি করে ২০১৪ এর মতো বিনা ভোটে নির্বাচন করে আবারও তারা ক্ষমতায় থাকার খোয়াব দেখছে।


নুরুল হক নুর বলেন, বিরোধী দলগুলো যদি নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়ার ভিত্তিতে রাজপথে নামে ক্ষমতায় থাকার সেই খোয়াব দুঃস্বপ্নে পরিণত করবে। কারণ আজকে তরুণ সমাজের রাজনৈতিক নেতৃত্বের প্রয়োজন হয় নাই। যে যার জায়গা থেকে প্রতিবাদে নেমে পড়েছে। এখন আমাদের প্রধান কাজ হচ্ছে এই বিনা ভোটের এই সরকারের বিরুদ্ধে জনগণকে সংগঠিত করে পাড়া মহল্লায় গণজাগরণ গড়ে তোলা।


প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে নুর বলেন, আপনি গণভবন থেকে বের হন, জনগণের দুঃখ কষ্ট দেখেন। আপনার সামনে একটা কাচের দেয়াল তৈরি করে দেয়া হয়েছে, আপনি জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন, আপনি এখন ভার্চুয়াল মাধ্যমে আছেন। আপনি সরাসরি কোন অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারছেন না। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, কারা আপনার নিরাপত্তার হুমকি তৈরি করেছে? যারা আপনাকে বন্দিদশায় রেখেছে তাদের কথায় আর কর্ণপাত করবেন না।


তিনি আরও বলেন, মূল্যবোধের চরম অবমাননা হচ্ছে। শিক্ষকের গলায় জুতার মালা ঝুলানো হচ্ছে। সাম্প্রদায়িক হামলা হচ্ছে। কিন্তু এর কোনো সুষ্ঠু বিচার হচ্ছে না। সরকার এই দেশকে উগ্রবাদের দেশ হিসেবে পরিচিত করছে। সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদের অনান্য নেতারা।