বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। গোপালগঞ্জের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) দেলোয়ার হোসেনের দায়ের করা মামলায় মঙ্গলবার গোপালগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক শরিফুল রহমান এ পরোয়ানা জারি করেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২৪ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী ও দলের ২১ নেতাকর্মীসহ গোপালগঞ্জ জজকোর্টের পিপি দেলোয়ার এবং তার পিতা হাসেম সরদারের নাম উল্লেখ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সাংবাদিক সম্মেলন করেন। সেখানে তাদের রাজাকার, পাকিস্তানি দোসর ও যুদ্ধাপরাধী বলেন।
২০১৯ সালের ২০ জানুয়ারি অ্যাডভোকেট দেলোয়ার বাদী হয়ে গোপালগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য সিআইডিতে দেয়। সিআইডি দীর্ঘ দুই বছর এক মাস তদন্ত করে মানহানি মামলায় ২০২১ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। ওই দিনই কবির রিজভীর বিরুদ্ধে সমন জারি করেন গোপালগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক শরিফুল রহমান রুহুল। সমনে হাজির না হওয়ায় মঙ্গলবার তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
মামলার বাদী অ্যাডভোকেট দেলোয়ার বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় আমার বয়স ছিল ১০ বছর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের ২১ জন নেতাসহ আমি ও আমার পিতাকে রাজাকার, যুদ্ধাপরাধী ও পাকিস্তানি দোসর বলে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সাংবাদিক সম্মেলন করেন। পত্রিকায় দেখার পর আমি মামলা করেছি। মঙ্গলবার আদালত সেই মামলায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন।